কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
দেশবাসীর মূল সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি অপশব্দের আমদানি করছে বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, এ সব সত্ত্বেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের অধিকাংশ রাজ্যেই জিতবে তাঁর দল। লোকসভার ভোটে ‘চমক’-এর প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল।
সংসদের সদ্য সমাপ্ত বিশেষ অধিবেশনে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। পাঁচ রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকার মানুষের মূল সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই এখন মহিলা বিল নিয়ে এসেছে। আজ নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর দাবি— মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে তাঁর দল জিতছেই। তাঁর তেলঙ্গানাতেও ‘সম্ভবত’ জিতবে কংগ্রেস। রাজস্থান প্রশ্নে যদিও কিছুটা অনিশ্চিত শুনিয়েছে রাহুলকে। সব মিলিয়ে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির জন্য ‘চমক’ অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন রাহুল।
রাহুলের কথায়, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে আমরা সম্ভবত তেলঙ্গানায় জিতছি। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে তো অবশ্যই জিতব। রাজস্থানে জয়ের খুব কাছাকাছি রয়েছি, আমাদের ধারণা জিতেও যাব। এটা বিজেপিও নিজেরা অভ্যন্তরীণ ভাবে ভাবে আলোচনা করছে।” তাঁর মতে, কর্নাটকের বিরাট জয় থেকে শিক্ষা হল, বিজেপি ভোট জেতে প্রকৃত সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিয়ে। আজ তাঁর বক্তব্য, “আমরা কর্নাটকে যেটা করি, এমন ভাবে লড়াই করেছিলাম যাতে বিজেপি যেন নিজেদের মতো করে ভাষ্য তৈরি করতে না পারে।” এ ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির সম্প্রতি করা লোকসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতি অশালীন শব্দ প্রয়োগের প্রসঙ্গ নিয়ে এসেছেন রাহুল। নিশিকান্ত দুবের সনাতন ধর্মকে সংসদীয় বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসারও উল্লেখ করেছেন। রাহুলের কথায়, “আপনারা দেখছেন রমেশ বিধুরি এবং নিশিকান্ত দুবের কর্মকাণ্ড। আসলে জাতভিত্তিক জনগণনা থেকে নজর সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি এই সব করে চলেছে। তারা জানে যে এই মৌলিক বিষয়গুলি মানুষ চায়, আর বিজেপি এই আলোচনাটাই উঠতে দিতে নারাজ। যত বারই আমরা বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আনি, তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে। এখন আমরা বুঝে গিয়েছি, কী ভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।”
রাহুলের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের সমস্যা থেকে চোখ ঘোরানোর অন্যতম নজির বিজেপির তোলা এক দেশ এক ভোটের জিগির। শিল্পপতি আদানির নাম না করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘ভারতের মূল সমস্যা হল দেশের সম্পদ এক জায়গায় জমা হওয়ার ফলে তৈরি হওয়া এক বিপুল অসাম্য। পাশাপাশি সার্বিক বেকারত্ব, ওবিসি, জনজাতির প্রতি বঞ্চনা ও শোষণ ও মূল্যবৃদ্ধি।” তিনি বলেন, “বিজেপি যে হেতু এ সবের মুখোমুখি হতে পারছে না ফলে বিধুরিকে দিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ানো হচ্ছে। আমরা বুঝি এ সব কেন করা হচ্ছে। আমরা আর এটা হতে দেব না।”
পাশাপাশি রাহুলের মতে, বিরোধী দলগুলির উপর আর্থিক ভাবে এবং সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে আক্রমণ করানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “দেশের যে কোনও ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চান, তাঁরা বিরোধী দলকে সমর্থন করলে তাঁদের কী হাল হবে? যদি তাঁরা কোনও চেক কোনও বিরোধী দলের
নামে কাটেন, তা হলে কীসের মুখে পড়বেন তাঁরা?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy