উত্তরপ্রদেশ থাকল উত্তরপ্রদেশেই।
ধর্ম-জাতি-ভাষার ভিত্তিতে ভোট চাওয়া যাবে না বলে গত কালই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জাতি-ধর্মের ভিত্তিতেই মায়াবতী মুসলমান, যাদব ও দলিতদের ভোট চাইলেন। নিজের প্রার্থী তালিকায় কত জন মুসলমান, দলিত, ব্রাহ্মণ তা ঘোষণাও করেছেন তিনি। তাঁর আহ্বান, ‘‘নিজের জাত-ধর্মের প্রার্থীকে ভোট দিন। বহুজন সমাজ পার্টির জয়
নিশ্চিত করতে।’’
সুপ্রিম কোর্টের রায় রাজনীতির ময়দানে সত্যিই কতটা কার্যকর করা যাবে তা নিয়েও সংশয় ছিলই। আজ মায়াবতীর ঘোষণার পরে আশঙ্কা আরও প্রবল হয়েছে।
মায়াবতী কি সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করছেন? তাঁর জবাব, “আমি আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ বসপা নেত্রীর ঘনিষ্ঠ আইনজীবী-নেতা সতীশ মিশ্রর যুক্তি, তাঁর নেত্রী মোটেই আদালত অবমাননা করেননি। কারণ ওই রায় কার্যকর হবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে। এখন তো খাতায়-কলমে কোনও ভোটই নেই। কাজেই ভোট চাওয়ার প্রশ্নও উঠছে না।
কী বলেছেন মায়াবতী?
মুসলিমদের বলেছেন তাঁকে ভোট দিতে। রাখঢাক না করেই জানান, রাজ্যের যে আসনে যে জাত বা ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তিনি সেখানে সেই জাত-ধর্মের প্রার্থী দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, “আমি ৪০৩টি বিধানসভা আসনেই প্রার্থী স্থির করে ফেলেছি। এর মধ্যে ৮৭ জন দলিত, ৯৭ জন মুসলিম, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ১০৬ জন এবং ১১৩ জন উচ্চবর্ণের।’’ মায়াবতীর যুক্তি, এই তালিকা থেকেই স্পষ্ট বসপা শুধু দলিতদের পার্টি নয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মুখ খোলেননি বিজেপির শীর্ষ নেতারা। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকেই সতর্ক হতে হবে।’’
বসপা নেতাদের পাল্টা দাবি, বিজেপিই জাত-ধর্মের রাজনীতি করে। নরেন্দ্র মোদী গত কালই লখনউতে বাবাসাহেব অম্বেডকরকে নিয়ে আবেগ উস্কে দিতে চেয়েছেন। বলেছেন, ‘‘অম্বেডকরের স্মরণে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ভীম অ্যাপ চালু করেছি।’’ জবাবে আজ মায়াবতী বলেন, “শুধু ভীমের নাম নিয়ে দলিতদের বোকা বানানো যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy