গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এটা নিছকই সেনাবাহিনীর একটা রুটিন রোটেশন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই— কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমন বার্তা দেওয়ার পরেও যেন আতঙ্কটা কাটছে না কাশ্মীরে।
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন মেহবুবা মুফতি, শাহ ফয়জল, সাজ্জাদ লোন এবং ইমরান আনসারি-র মতো বিভিন্ন দলের নেতারা। গুজবে কান না দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে ওই প্রতিনিধি দলটিকে আহ্বান জানান রাজ্যপাল। এর পরই রাজ্যপালের দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কারণ জড়িয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কাশ্মীরে। এটা স্রেফ নিরাপত্তাজনিত বিষয়। এর সঙ্গে অন্য কোনও কারণের সম্পর্ক নেই।”
সেনা তত্পরতা নিয়ে ওই দিনই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ন্যাশনাল কনাফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরে এটা কী হচ্ছে! কী এমন প্রয়োজন পড়ল যার জন্য বাড়তি সেনা মোতায়েন করতে হচ্ছে?”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই ১০ হাজার সেনা কাশ্মীরে মোতায়েন করার পর থেকেই উদ্বেগটা বাড়ছিল রাজ্যবাসীর মধ্যে। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল তা হলে কি এ বার ৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। সেই উদ্বেগটা এক ধাক্কায় আরও বেড়ে যায় কাশ্মীরে স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকে সতর্কবার্তা পাঠানোর পর। কাশ্মীরবাসীদের বিভ্রান্তি দূর করতে আসরে নামে কেন্দ্র। বার্তা দেওয়া হয়, অহেতুক আতঙ্কিত হবেন না।
আরও পড়ুন: বন্ধ অমরনাথ যাত্রা, জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভ্রমণার্থীদের জম্মু-কাশ্মীর ছাড়ার বার্তা প্রশাসনের
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গ থেকে ফিরছেন ভ্রমণার্থীরা
এ দিকে, শুক্রবারই অমরনাথ যাত্রাপথ থেকে ল্যান্ডমাইন ও স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করে সেনা। পাক সেনার সাহায্যে জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রা বানচাল করতে ছক কষছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ‘প্রবল’ হয়ে ওঠায় পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার জন্য ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করে রাজ্য প্রশাসন।
এই ‘অ্যাডভাইজরি’ জারি করার পরই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গ করা চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। পাশাপাশি তিনি বলেন, “নিজেদের পরিচয় রক্ষা করার জন্য রাজ্যের মানুষের কাছে অবশিষ্ট যা আছে সেটাও ছিনিয়ে নিতে চাইছে নয়াদিল্লি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy