প্রতীকী ছবি।
নির্বাচন কমিশনে জমা করা ডিএমকে-র হলফনামা বলছে, তারা সিপিএম ও সিপিআইকে লোকসভা ভোটের সময় বিপুল চাঁদা দিয়েছিল। কিন্তু সিপিএমের হলফনামায় তার উল্লেখ নেই। সিপিআই হলফনামা জমা করেনি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় দুই বাম দলই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
জুলাই ও সেপ্টেম্বরে সিপিএম দু’টি হলফনামা জমা করেছে। ডিএমকে-র হলফনামায় সিপিএমকে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দেওয়ার কথা থাকলেও সিপিএমের হলফনামা কিন্তু বলেছে, এ বছর নির্বাচনে তারা ৭.২ কোটি টাকা খরচ করেছে। তা হলে ডিএমকে-র চাঁদার টাকা কোথায় গেল? বিজেপির অভিযোগ— এই তথ্য যদি সত্যি হয়, যদি আয়ের টাকা কী ভাবে কোথায় খরচ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা না থাকে, তা হলে নিয়ম ভাঙা হয়েছে।
সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এখনও সব খরচের হিসেব-নিকেশ জমা পড়েনি। সব হিসেবই নির্বাচন কমিশনকে জমা করা হবে। আমাদের দলের নীতি হল, কমিশনকে যে তথ্য দেওয়া হবে, তা দলের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করে দেওয়া হবে।’’ সিপিআই নেতৃত্বের জবাব, তাঁরা সময় মতো কমিশনের কাছে হিসেব পেশ করবেন।
লোকসভা ভোটের পরে সব দলকেই আয়-ব্যয়ের হিসেব দিয়ে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা করতে হয়। তামিলনাড়ুর ডিএমকে জানিয়েছে, তারা ভোটের সময় সিপিএমকে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছিল। এপ্রিল মাসে তিন দফায় এই টাকা হাতবদল হয়। সিপিআইকে ডিএমকে দিয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। তামিলনাড়ুতে এ বার ডিএমকে-র সঙ্গে সিপিএম, সিপিআই গাঁটছড়া বেঁধেছিল। কার্যত এম কে স্ট্যালিনের বদান্যতাতেই সিপিএম লোকসভায় তিনটের মধ্যে দু’টি আসন তামিলনাড়ু থেকে জিতে এসেছে। সিপিআইয়ের জেতা দু’টি আসনও তামিলনাড়ু থেকে। বিজেপি ও কংগ্রেস কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত দু’টি হলফনামায় ৮৩.৬ কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকা খরচের কথা জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy