করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সমঝোতা বৈঠকে আজ অধিকাংশ জেলা পরিষদ সদস্যই গরহাজির থাকলেন। ফলে অনাস্থা ভোটে না গিয়ে বিরোধের মীমাংসার ছক কার্যত ভেস্তে গেল। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দিনের মধ্যেই করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত হল।
করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ২০টি। আনিপুর জেলা পরিষদ সদস্য অসুস্থ হয়ে গুয়াহাটিতে রয়েছেন। অপর এক সদস্য হজ করতে মক্কায়। তিন-চারদিনের মধ্যে করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে অনাস্থা ভোট হলে ১৮ জন সদস্য সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদে ইউডিএফের সদস্য রয়েছেন ৭ জন। নির্দল ১, বিজেপি ১ এবং বাকি ১১ জন সদস্য কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সংখ্যাধিক্য জেলা পরিষদ সদস্য এবং এক নির্দল সদস্য সম্প্রতি সভানেত্রী নজরানা বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করেন সভানেত্রী। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদ ইউডিএফের দখলে থাকলেও তা ভেঙে ফেলার পক্ষে ছিল না কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, সংখ্যালঘু সভানেত্রীকে পরিবর্তন করতে হলে একই গোষ্ঠীর কাউকে ওই দায়িত্ব দিতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করায় ৩ সদস্যকে শো-কজ করা হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কংগ্রেস জেলা পরিষদ সদস্যদের একাংশ সভানেত্রীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বলে খবর ছড়ায়। সেই বৈঠকে পরিষদের সব সদস্যকে নিয়ে সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সেই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ সদস্যই সেখানে গরহাজির ছিলেন। সভায় আসেননি ইউডিএফের জেলা পরিষদ সদস্য টুনু খানও। দলের দখলে থাকা জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসার পরও দলের পরিষদ সদস্য গরহাজির থাকার বিষয়কে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে চিহ্নিত করছেন অনেকেই। যদিও মীমাংসার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিষদের সভাধিনেত্রী এ দিন কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কিন্তু সেখানে সবাই উপস্থিত না থাকায়, অনাস্থা ভোটের দিকেই জেলা পরিষদ এগোচ্ছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের অভিমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy