শপথবাক্য পাঠ করছেন ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। ছবি পিটিআই।
দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চন্দ্রচূড়কে শপথবাক্য পাঠ করান। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেছেন উদয় উমেশ ললিত। শপথ নেওয়ার পরেই চন্দ্রচূড় একটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার কাজ কথা বলবে।”
১১ অক্টোবরই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে বিচারপতি ললিত তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে চন্দ্রচূড়ের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হলে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মতি জানান। তার পরই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইট করে দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
প্রথা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতিকে বেছে নেওয়ার জন্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। সেই চিঠির প্রত্যুত্তরে বিদায়ী বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেন। গত ৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ৭৪ দিনের মেয়াদ শেষ করেছেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি ললিত। তার পর দিনই শপথগ্রহণ করলেন চন্দ্রচূড়।
চন্দ্রচড়ের বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় আট বছর দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আর কেউ ওই পদে থাকেননি। পিতা এবং পুত্র দু’জনেই দেশের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন, এমন নজিরও আগে দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে কাজ শুরু করা চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতির পদে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবেন। নিজের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তির বিষয়ে কিছু দিন আগেই চন্দ্রচূড় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আইনের শাসনের ধারণাকে রক্ষা করতে বিচারবিভাগকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর তার জন্য তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy