মণিপুরে এমস হাসপাতাল নির্মাণ ও দক্ষতা বিকাশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে। ‘গো টু ভিলেজ’, ‘গো টু হিলস’ অভিযানকে সম্প্রসারিত করে এ বার থেকে সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
ফাইল চিত্র।
মুখে আফস্পা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও মণিপুরের নির্বাচনী ইস্তাহারে বিষয়টি এড়িয়ে গেল বিজেপি। ছুঁল না মেইতেইদের তফসিলি জনজাতি ঘোষণার প্রসঙ্গও। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা আজ ইস্তাহারটি প্রকাশ করেন। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ, প্রদেশ সভাপতি সারদা দেবী। মণিপুরে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৫ মার্চ ভোট হবে। মোট প্রার্থী ২৬৫ জন। বিজেপিই একমাত্র দল যারা ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। প্রাক-নির্বাচনী মিত্রতা হয়নি কারও সঙ্গে।
ইস্তাহারে আফস্পার উল্লেখ না থাকার যুক্তি হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে রঞ্জন বলেন, “আফস্পা কেন্দ্রীয় আইন। কোনও রাজ্য সরকার বা রাজ্যের রাজনৈতিক দল তা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না।” তাঁর আশ্বাস, মণিপুরবাসীর দাবি মেনে কেন্দ্র যেমন ইনারলাইন পারমিট চালু করেছে, তেমনই আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য মণিপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও আবেগকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্র। সময়-সুযোগ মতো নিশ্চয়ই তা প্রত্যাহার করা হবে। মণিপুরের সমতলের মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি জনজাতি মর্যাদার প্রসঙ্গ নিয়ে রঞ্জন বলেন, “এত দ্রুত এই বিষয়টি নিয়ে সমাধানসূত্র বার করা সম্ভব নয়। ত্রিপুরার এক গোষ্ঠী ২০ বছর লড়াইয়ের পরে এসটি হতে পেরেছে।”
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে রাজ্যে ট্রেন চালু করার কৃতিত্ব নিচ্ছে বিজেপি। তাদের দাবি, পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহ দিতে রাজ্যের পাহাড়গুলির পাদদেশ বরাবর রেলপথ চালু করা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফলো ফুটহিল্স’ বা ‘ফো ফো’ ট্রেন। পর্যটন ক্ষেত্রে এক লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিজেপির ঘোষণা— স্থানীয় পর্যটন, হোম স্টে ইত্যাদিতে উৎসাহ দিতে নগদ অনুদান ও ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার। লোকটাক সরোবরকে ঘিরে তৈরি হবে ‘লোকটাক মেগা ইকো টুকিজ়ম প্রকল্প’। আন্তঃরাজ্য সম্পর্ক উন্নত করা, অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অধীনে মণিপুরকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা
বলা হয়েছে।
মণিপুরে এমস হাসপাতাল নির্মাণ ও দক্ষতা বিকাশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে। ‘গো টু ভিলেজ’, ‘গো টু হিলস’ অভিযানকে সম্প্রসারিত করে এ বার থেকে সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, স্থানীয় অর্থনীতি ও স্থানীয় উৎপাদনের বিকাশের জন্য ‘এক মহকুমা এক উৎপাদন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে বিনা সুদে ঋণ প্রদান ও স্টার্ট আপগুলিকে বিনা সুদে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে ১০০ কোটি টাকার স্টার্ট আপ মণিপুর তহবিল গড়ার কথাও রয়েছে ইস্তাহারে।
ইস্তাহারে রয়েছে প্রত্যেক মেধাবী কলেজ ছাত্রীকে স্কুটার, রানি গাইদেনলিউ প্রকল্পে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরিবারের মেয়েদের এককালীন ৩.২৫ লক্ষ টাকা সাহায্য ও দ্বাদশ উত্তীর্ণ সব মেধাবী BJP পড়ুয়াকেকে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy