‘উচিত শিক্ষা’ দিতে শিক্ষককে কুপিয়েছিল তাঁরই দুই ছাত্র। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে মারা গেলেন পশ্চিম দিল্লির নাংলোই-এর সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের হিন্দি শিক্ষক মুকেশ কুমার।
একের পর এক পরীক্ষায় ফেল করা ও ক্লাসে উপস্থিতির হার কম থাকায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন মুকেশ। আর এক ছাত্রের অভিভাবককে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। সেই ‘অপমানের’ প্রতিশোধ নিতে গত কাল শিক্ষক মুকেশ কুমারকে ক্লাসেই ছুরি মেরেছিল ওই দুই ছাত্র। কাল গভীর রাতে হাসপাতালে মারা যান তিনি। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক ছাত্র নাবালক হওয়ায় তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই দু’জনের পাঁচ বন্ধুকেও ।
১২ সেপ্টেম্বর অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়ে দুই ছাত্রকে তিরস্কার করেছিলেন মুকেশ। তাদের মধ্যে এক জনকে বহিষ্কারও করা হয়। এই দুই ছাত্র জেরায় জানিয়েছে, তারপর থেকেই শিক্ষককে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল তারা। কাল স্কুলের একটি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে মুকেশ যখন খাতা গুছোচ্ছিলেন, তখন ক্লাসেই ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ওই দুই ছাত্র। সঙ্গে তাদের জনাপাঁচেক বন্ধুও ছিল।
ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন মুকেশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদন সিংহের কথায়, ‘‘আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গভীর রাতে তিনি মারা যান।’’
গতকাল মুকেশের ওপর হামলার খবর পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। মুকেশের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে শিক্ষকের পরিবারকে এককালীন এক কোটি টাকা অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সিসৌদিয়ার কথায়, ‘‘এক জন শিক্ষক যে কাজটা করেন, তা এক জন সেনার থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলেরই এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy