কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসা ইস্তক গোবর-গোমূত্র নিয়ে ভারতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আলোচনা এবং ‘গবেষণা’ বেড়েছে। তা নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। এ বার আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টর ভি কামাকোটির গলাতেও গোমূত্রের ‘ওষধি মূল্য’ নিয়ে প্রশংসার পরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার), যেখানে কামাকোটিকে ‘গো-সংরক্ষণশালা’ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে গোমূত্রের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। কামাকোটির দাবি, সেটি ‘ব্যাক্টিরিয়া-রোধী, ফাঙ্গাস-রোধী এবং হজমক্ষমতাবর্ধক’ ‘বিশেষ গুণসম্পন্ন’! এমনকি ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিস্টেম’ সারাতেও গোমূত্রের ‘গুণে’র কথা বলেন তিনি! আইআইটি মাদ্রাজের ডিরেক্টরের দাবি, এক সময় সাধুরা জ্বর সারাতে গোমূত্র ব্যবহার করতেন।
আইআইটি ডিরেক্টরের এমন দাবির পরে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম কামাকোটির মন্তব্যকে অপবিজ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আরও অনেকে সমালোচনা করে বলেছেন, এই অবৈজ্ঞানিক মনোভাব আইআইটি-র বিজ্ঞানসম্মত কাজের সঙ্গে খাপ খায় না। তাঁকে অবিলম্বে ওই পদ থেকে সরানোর দাবিও উঠেছে। অনেকেই সংবিধানে লিখিত বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা বাড়ানোর প্রসঙ্গটির উল্লেখ করে বলেছেন, হিন্দুত্ববাদী দলগুলির প্রভাবে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও এখন বিজ্ঞানের চেয়ে বেশি অপবিজ্ঞানের চর্চা হচ্ছে। এই সব প্রতিষ্ঠান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে এই সব অপবিজ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)