উমর খালিদ— ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের দিল্লির হিংসার ঘটনায় ধৃত উমর খালিদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ)-এ মামলায় সম্মতি দিল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিল্লি সরকারের তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভের সময় গত ফেব্রুয়ারিতে গোষ্ঠী হিংসা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। সরকারি হিসেবে নিহত হন ৫৩ জন। পুলিশের অভিযোগ, শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন উস্কানিমূলক বক্তৃতা করেছিলেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর চক্রান্তে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে।
সে সময় শাহিনবাগে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করেছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের দল আম আদামি পার্টি (আপ)। এই পরিস্থিতিতে উমরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলায় দিল্লি সরকারের অনুমোদন ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা দানা বেঁধেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই ষড়যন্ত্রের মামলায় উমরের সহ-অভিযুক্ত, আপ-এর প্রাক্তন কাউন্সিলর তাহির হুসেন। দিল্লি হিংসার ঘটনায় গত ৬ মার্চ প্রথম উমরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাতে বলা হয়, উস্কানিমূলক বক্তৃতার পাশাপাশি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ সংগঠিত করেন উমর। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করা হচ্ছে, এমন বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দেওয়া।
আরও পড়ুন: পেনসিলভেনিয়ায় বাড়ল ব্যবধান, জয়ের আরও কাছে বাইডেন
গত অগস্ট মাসে পুলিশ উমরকে দিল্লি হিংসার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর সেপ্টেম্বরে ফের কয়েক দফা জেরার পর উমরকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তিনি এখনও জেলবন্দি। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। কিন্তু ইউএপিএ আইনের কিছু ধারায় অভিযোগ আনতে গেলে তদন্তকারী সংস্থাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের অনুমোদন নিতে হয়।
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মিঙ্ক মারার কাজ শুরু ডেনমার্কে
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক শনিবার বলেন, ‘‘ইউএপিএ আইনের ১৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়েরের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অনুমোদন প্রয়োজন। ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়েরের জন্য প্রয়োজন রাজ্যের সম্মতি। আমার দু’তরফেই অনুমোদন পেয়ে গিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy