—প্রতীকী চিত্র।
বুধবার দক্ষিণ দিল্লি থেকে ৫০০ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দাবি, রাজধানীতে একসঙ্গে এত পরিমাণে মাদক উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। এর নেপথ্যে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। কী কারণে এই সন্দেহ তৈরি হল পুলিশের? এই বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের তথ্যই বা কী ভাবে পেল পুলিশ? তা নিয়ে ইতিমধ্যে কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। মাদকের চোরাচালানের বিষয়ে পুলিশের মনে প্রথম সন্দেহ জাগে ‘জয়-বীরু’র মধ্যে কথোপকথন থেকে।
এক সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ, মাদক পাচার মামলার তদন্তে দুবাইনিবাসী ‘বীরু’ এবং মুম্বইনিবাসী ‘জয়’-এর অনলাইন কথোপকথনের দিকে পুলিশ নজর রাখছিল। একটি মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে জয়ের কথা বলছিল বীরু। একে বারে সাধারণ কথোপকথন। ব্রিটেনের এক রক ব্যান্ড নিয়ে কথা হচ্ছিল তাঁদের মধ্যে। আপাত ভাবে সাধারণ কথোপকথন হলেও, তাতে লুকিয়ে ছিল মাদক পাচার সংক্রান্ত গোপন তথ্য। সেখানে একটি জায়গায় কিছু ‘উপহার’-এর বিষয়ে কথা হয়েছিল। কথোপকথন অনুযায়ী, পানামা থেকে দুবাইয়ের কাছের একটি বন্দর হয়ে ওই ‘উপহার’ গোয়ায় এসেছিল। সেই সূত্র খবরেই ‘উপহার’ ট্র্যাক করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশের তদন্তকারী দল।
গোয়া থেকে সেই ‘উপহার’ প্রথমে এসে পৌঁছেছিল উত্তরপ্রদেশের হাপুরে। তার পরে সেখান থেকে গাজ়িয়াবাদ হয়ে দিল্লির মহীপালপুরে এসে পৌঁছেছিল। সেটি কখন কোথায় যাচ্ছে , পুরোটা নজরে রেখেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। শেষে দক্ষিণ দিল্লির একটি জায়গা থেকে সেটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বুধবারের ওই অভিযানে চার জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, এই মাদক কারবারের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক কোনও মাদক চক্রের যোগ রয়েছে। রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় অভিজাত খদ্দেরদের কাছে এই মাদক বিক্রির ছক ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy