তিনি সুপারস্টার। শুধু তাই নয়, এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। সব বিষয়ে খুঁতখুঁতে, সব কাজে সেরা! অভিনয় জীবনে যেমন সফল, তেমনই সফল ব্যক্তিগত জীবনেও। তিন সন্তানের বাবা, ৬০-এ পা দেওয়া আমির খান এখনও প্রেমে রয়েছেন।
কিন্তু প্রত্যাখ্যান এসেছে তাঁর জীবনেও। সম্প্রতি আমির নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ‘লাপতা লেডিজ়’-এ অভিনয় করতে চেয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে। কিন্তু স্বয়ং কিরণ রাও তাঁকে বাতিল করে দেন, নির্বাচিত হন রবি কিশন। তবে এটিই একমাত্র নয়। এর আগে নাকি ‘ওমকারা’ ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েও বিফল হয়েছিলেন আমির।
২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ছবি ‘ওমকারা’। মূলত শেক্সপিয়রের নাটক ‘ওথেলো’-র ভারতীয় আত্মীকরণ ঘটেছিল এ ছবিতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনাট্যকার রবিন ভট্ট জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা ‘ঈশ্বর ল্যাংড়া ত্যাগী’ চরিত্রের জন্য আমির খানের নাম বাছাই করেছিলেন। সেই অনুযায়ী কথাবার্তাও এগিয়ে যায়। খলনায়কের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন আমির নিজেও। রবিন বলেন, “আমিরের কাজটি করার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এক সময় আমাদের মনে হয় ওঁকে এই চরিত্রে মানাবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিতীয় পছন্দ ছিলেন সইফ আলি খান।”

বিশাল ভরদ্বাজের ‘ওমকারা’ ছবিতে ল্যাংড়া ত্যাগীর চরিত্রে শেষ পর্যন্ত অভিনয় করেছিলেন সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন:
কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে যেতেই সমস্যা হল অন্যত্র। চরিত্রের প্রয়োজনে সইফের সংলাপ ছিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গ্রাম্য ভাষায়। কিন্তু পটৌদী ঘরানার অভিনেতা কোনও ভাবেই সেই ভাষার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। অভিনয় করতে গেলে তাঁকে পুরোটাই শিখে নিয়ে করতে হত। সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন সইফ।
রবিন জানিয়েছেন, ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’ হয়ে ওঠার জন্য সইফ ছোট করে চুল ছেঁটে ফেলেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ভাষা রপ্ত করার নিয়মিত মহড়া দিতেন। আর এ বিষয়ে তাঁকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন, সহ-অভিনেতা দীপক দোবরিয়াল।