রবিবার সকালে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে আফতাবের বাড়িতে। — ফাইল ছবি।
রবিবার আবার আফতাবের ছতরপুরের বাড়িতে দিল্লি পুলিশ। শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের আরও ফরেন্সিক প্রমাণ হাতে চাইছে তারা। সে কারণেই সকালে তারা তল্লাশি চালিয়েছে আফতাবের বাড়িতে।
শনিবার মেহরৌলির জঙ্গল থেকে আরও কিছু দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ মনে করছে, সেগুলি শ্রদ্ধার। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সেই দেহাংশ। পরের দিন, রবিবার ফের আফতাবের বাড়িতে তদন্তকারী দল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতেই গলা টিপে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলেন আফতাব। বাড়ির মালিক জয়শ্রী পাটকরের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশকর্মী।
দিল্লি পুলিশের আর একটি দল মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ে গিয়েছে। ভাসাইয়ের একটি আবাসনের এক ফ্ল্যাটে থাকত আফতাবের পরিবার। গত কয়েক দিন ধরে পরিবারের সদস্যদের কোনও খোঁজ নেই। ফ্ল্যাটে তালা। ওই আবাসনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন দিল্লি পুলিশ কর্মীরা। শনিবার মুম্বইয়ের যে কল সেন্টারে কাজ করতেন শ্রদ্ধা, সেখানকার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এর আগেও আফতাবের ছতরপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল ধারালো অস্ত্র। পুলিশের সন্দেহ, ওই ধারালো অস্ত্র দিয়েই কাটা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহ।
যদিও এখনও প্রমাণ মেলেনি। ছতরপুরে আফতাবের বাড়িতে যত জামাকপাড় ছিল, সবই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি দেহাংশ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। সবই কঙ্কালের মতো। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেন আফতাব বলে অভিযোগ। তদন্তে জানা গিয়েছে, এর পর শৌচালয়ে বসে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন আফতাব। তার পর ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন অংশে দেহাংশ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy