প্রতীকী ছবি।
২০ বছরের তরুণী ২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা, কিন্তু জানতেনই না। বুঝতে পারার পরই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে সোমবার আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘গর্ভস্থ ভ্রুণের কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাচ্ছি না। তাই আদালত ভ্রুণ হত্যার অনুমতি দিতে পারে না।’’
সপ্তাহখানেক আগে এই তরুণী দিল্লি হাই কোর্টে গর্ভপাতের অনুমতির জন্য আবেদন জানান। তাঁর দাবি ছিল, তিনি যে গর্ভবতী, তা এত দিন বুঝতে পারেননি। গত ২৫ জানুয়ারি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পারেন। কিন্তু তখন গর্ভপাতের আইনসম্মত ২৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) আইনের অধীনে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি।
জরুরি ভিত্তিতে তরুণীর আবেদন শোনে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের একক বেঞ্চ। মামলাকারীর আইনজীবী অমিত মিশ্র সওয়ালের সময় বলেন, তাঁর মক্কেল গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানতেন না। যখন জানতে পারেন, তখন ২৭ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছিল। তাঁর বয়স কম এবং অবিবাহিত। পরিবারের কেউই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তাই তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হোক।
শুনানি শেষে বিচারপতি এমসকে তরুণীর মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে গর্ভস্থ ভ্রূণের অবস্থার পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পাশাপাশি, মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ জানিয়েছিলেন, ‘‘ভ্রুণ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না।’’
সোমবার মামলাকারীর মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিচারপতি। তার পরই তরুণীর আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি ২৮ সপ্তাহের সম্পূর্ণ সুস্থ ভ্রুণকে নষ্ট করার অনুমতি দেব না।’’
উল্লেখ্য, ভ্রুণের গঠন অস্বাভাবিক হওয়ায় বম্বে হাই কোর্ট ৩৩ সপ্তাহের মাথায় গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছিল। গত বছরও ২৭ সপ্তাহের নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু ভ্রুণের গঠন স্বাভাবিক হওয়ায় সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট ২০ বছরের তরুণীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy