বাবা রামদেব। ছবি: এক্স।
সোমবার পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা বাবা রামদেবকে সমাজমাধ্যম থেকে ‘আপত্তিকর পোস্ট এবং বিষয়বস্তু’ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ওই পোস্টে রামদেব লিখেছিলেন, ‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার জন্যই কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন মারা গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।’’ এর পর রামদেবের দাবি ছিল, পতঞ্জলির ‘করোনিল’ই করোনা ভাইরাসের আসল প্রতিষেধক!
করোনা অতিমারি চলাকালীন রামদেবের পোস্টটি সাড়া ফেলে দেয় দেশ জুড়ে। এর পরেই ২০২১ সালে বিভিন্ন চিকিৎসক সমিতি রামদেবের পোস্টটির উপর অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা দায়ের করার আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই আবেদনের শুনানিতেই তিন বছর পরে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে কড়া নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
সোমবার শুনানির দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে সমাজমাধ্যম থেকে মুছে ফেলতে হবে ওই পোস্ট। আদালত আরও জানিয়েছে, নির্দেশ না মানলে এক্স-এর (পূর্বতন টুইটার) তরফ থেকেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বাবা রামদেব, তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে চিকিৎসক সমিতি। অভিযোগ ছিল, কোনও প্রমাণ ছাড়াই করোনিলকে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে দাবি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন রামদেব। অথচ করোনিলের ড্রাগ লাইসেন্স বলছে, করোনিল কোনও রোগেরই প্রতিষেধক নয়, বরং বড়জোর ‘ইমিউনো-বুস্টার’ বলে দাবি করা যেতে পারে এটিকে।
রামদেবের পোস্টের পরে সরব হয় এমস পটনা, হৃষীকেশ, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন চিকিৎসক সমিতি, পঞ্জাবের ইউনিয়ন এফ রেসিডেন্ট ডক্টরস, মীরাটের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, তেলঙ্গানা জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি। অভিযোগ ছিল, অতিমারির সুযোগ নিয়ে নিজেদের পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন রামদেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy