অভিযুক্ত সরকারি কর্তা প্রেমোদয় খাখা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বার ধর্ষণের আগে বন্ধুর কিশোরী কন্যাকে মাদক খাওয়াতেন দিল্লির সরকারি কর্তা। তদন্তে এমনই ভয়ানক তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। এমনও হয়েছে যে, ঘুম ভাঙার পর কিশোরী তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পেয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর যখন ১৪ বছর বয়স, সেই সময় তার বাবার যখন মৃত্যু হয়। সাল ২০২০। বাবার মৃত্যু পর অবসাদে ভুগছিল কিশোরী। সেই সময় তাকে ওই সরকারি কর্তা তথা কিশোরীর বাবার বন্ধু হিসাবে পরিচিত প্রেমোদয় খাখার বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করছিল সে। প্রেমোদয়কে কিশোরী ‘মামা’ বলে ডাকত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কিশোরীকে প্রথম বার ধর্ষণ করা হয়েছিল ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর। তার ঠিক কয়েক দিন আগেই প্রেমোদয়ের বাড়িতে কিশোরীকে রেখে এসেছিলেন তার মা। কিশোরীর মা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সরকারি কর্তা তথা তাঁর স্বামীর বন্ধু আশ্বস্ত করেছিলেন যে, কিশোরীর খেয়াল রাখবেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর বাড়িতে নিরাপদেই থাকবে।
দিল্লি হাসপাতালে কিশোরীর কাউন্সেলিং চলাকালীন সমস্ত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বাবার মৃত্যুতে একেই অবসাদে ভুগছিল কিশোরী, সেই সঙ্গে তার উপর শারীরিক অত্যাচার হওয়ায় একাধিক বার ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর শিকার হয় সে। তদন্তে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় খাখা দম্পতিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে তাঁরা কোনও রকম সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি তদন্তকারীদের। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করছেন অভিযুক্ত সরকারি কর্তা। তবে পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না।
অন্য দিকে, নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা না করতে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। যে হাসপাতালে নির্যাতিতাকে ভর্তি করানো হয়েছে, সেখানে গিয়ে ‘ধর্নায়’ বসেছেন স্বাতী। তাঁর হুঁশিয়ারি, নির্যাতিতা এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা না করতে দিলে হাসপাতাল থেকে নড়বেন না। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy