ম্যাগি-বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। মঙ্গলবার সকালে অমিতাভ-মাধুরী-প্রীতির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ জারির পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ম্যাগির সরবরাহ সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করল কেরল সরকার। রাজধানী দিল্লিতে আবার ম্যাগির নমুনা পরীক্ষার ফলও আশানুরূপ নয়। সেখানে পরীক্ষায় পাশই করতে পারেনি রোজকার চটজলদি এই খাবারের নমুনা।
উত্তরপ্রদেশের এফএসডিএ এই স্ন্যাকের গুণগত মান নিয়ে যে পরীক্ষা চালায় তাতে বিপজ্জনক মাত্রায় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট এবং সীসা মিলেছে। এর পরই কেরলে এক হাজার বিপণন কেন্দ্র থেকে ম্যাগি সরবরাহে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার।
দেশ জুড়ে ম্যাগি-বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন এ রাজ্যে এখনও নিরুত্তাপ সরকার। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কার্যত কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভাতেও ম্যাগি-প্রসঙ্গ ওঠে।
এ দিন অধিবেশনে ক্রেতা সুরক্ষা বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। এরই মধ্যে ম্যাগি-বিতর্কে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন। তবে এ নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে স্বাস্থ্য দফতরের উপরেই দায় চাপিয়েছেন। যে দফতর রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বে। জবাবি ভাষণে তিনি বলেন, “খাদ্যে ভেজাল দেখার দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতরের।” তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি বোতলবন্দি জল ও ম্যাগি-সহ বেশ কয়েকটি প্যাকেজাত খাদ্যদ্রব্যের নমুনা ন্যাশনাল টেস্ট হাউস-এ পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বুধবার খাদ্য দফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ দিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আগামিকাল দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানেই সব রিপোর্ট দেখে সবিস্তারে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy