গুজরাতের আদালতে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে সমন জারি। — ফাইল ছবি।
অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রি মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের ফৌজদারি মানহানির মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠাল গুজরাতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালত। একই সঙ্গে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকেও সমন পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ মে তাঁদের ২ জনকেই আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
সম্প্রতি মোদীর ডিগ্রি মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন কেজরীওয়াল। তাঁকে জরিমানাও দিতে হয়েছে। তার পরেই কেজরীওয়ালের করা কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল। সেখানে তাঁর অভিযোগ, হাই কোর্টের রায় শোনার পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় যা বলেন, তাতে মানহানি হয়েছে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের।
পীযূষের অভিযোগ, কেজরীওয়াল বলেছিলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী দিল্লি এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকেন, তা হলে তো গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নিয়ে উৎসব করা উচিত যে, তাঁদের প্রাক্তনী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন! কিন্তু তা-ও তারা সব কিছু ঢাকাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ডিগ্রির শংসাপত্র দেখানো হচ্ছে না তার কারণ সম্ভবত ডিগ্রিটি ভুয়ো। যদি সত্যিই ডিগ্রি থাকত তা হলে সেটা দেখাতে কেন এত আপত্তি?’’ কেজরীর এই মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ পীযূষের।
অন্য দিকে আপ সাংসদ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পীযূষের অভিযোগ, ‘‘তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁর ভুয়ো ডিগ্রিটি আসলে সত্যি, এটা প্রমাণ করতে।’’
গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, দুই আপ নেতার এ সব কথা বলার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী ২৩ মে গুজরাতের আদালতে হাজিরা দিতে হবে কেজরীওয়াল এবং সঞ্জয়কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy