অমৃতপালের সঙ্গে তাঁর সহযোগী দলজিৎ সিংহ (ছবিতে বাম দিকে)। ফাইল চিত্র।
খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের সঙ্গে পাকিস্তান-যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি করল তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তদন্তে উঠে এসেছে, অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দলজিৎ সিংহ ওরফে দলজিৎ খলসির বিদেশ থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এমনকি তাঁদের খলিস্তানপন্থী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য কানাডায় পাকিস্তানের উপদূতাবাসে চিঠিও দিয়েছিলেন দলজিৎ। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে খলিস্তানপন্থী একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, এই অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে ভারত। সেই ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত উপদূতাবাসেই পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলজিৎ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অমৃতপাল এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র ছিলেন এই দলজিৎই।
তবে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহকে এখনও ধরতে পারেনি পঞ্জাব পুলিশ। দাবি করা হচ্ছে, জাল ক্রমশ গুটিয়ে তাঁকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। পুরো বন্ধ করা হয়েছে হরিয়ানা সীমানা। পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। আরও বাড়ানো হয়েছে ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা।
অমৃতপালের টাকাকড়ি সামলানোর দায়িত্বে থাকা দলজিৎ সিংহকে রবিবার হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর। তাঁর কাছ থেকে ২৪টি পাকিস্তানি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। পঞ্জাবে পুলিশি অভিযানে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৮ জনকে। তার মধ্যে ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনে অমৃতপালের চার সহযোগীকে বায়ুসেনার বিমানে অসমের ডিব্রুগড়ে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই চার জনের মধ্যে দলজিৎও রয়েছেন। দেশের অন্যতম পুরনো, উচ্চ-নিরাপত্তার ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁদের রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘‘এটা পুলিশের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপার। অসমে ধরার পরে নিরাপত্তার জন্য অনেক সময় বিহারের ভাগলপুর জেলেও পাঠানো হয়ে থাকে। তেমনই, হয়তো পঞ্জাব পুলিশ ক’দিন বন্দিদের অসমে রাখার কথা ভেবেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy