ছবি: পিটিআই।
বিহারের মুজফ্ফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস), স্থানীয় ভাষায় ‘চমকি বুখার’-এর প্রকোপ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টি না হলে, গরম না কমলে এই সমস্যা কমার সম্ভাবনা নেই। আজ মুজফফরপুরের হাসপাতালে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৪৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে আইনজীবী শিবকুমার ত্রিপাঠি এ নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, একটি মেডিকেল বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হোক। ওই মেডিকেল দল তিন মাস ধরে ‘চমকি বুখার’ ছড়ানোর কারণের তদন্ত করে সর্বোচ্চ আদালতে রিপোর্ট দিক। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিক আদালত। আবেদনকারীর দাবি, কার গাফলতিতে শতাধিক শিশু এ ভাবে মারা গেল তা খতিয়ে দেখুক আদালত। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিহার সরকারকে আক্রান্তদের দ্রুত মেডিকেল সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট মামলাটির শুনানির গিন ঠিক করেছে।
২০০৯ সাল থেকে বিহারের মুজফফরপুরে এই চমকি বুখারে শিশুমৃত্যু প্রায় পার্বণীতে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে এই রোগে ৩৫৫ জন মারা গিয়েছিল। গত দশ বছরে সরকারি ভাবেই এই রোগে শিশু মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১২৮১। প্রশ্ন উঠেছে, শিশুমৃত্যু রুখতে গত ১০ বছরেও কেন সরকার কোনও
ব্যবস্থা নেয়নি? চিকিৎসার পরিকাঠামো এবং শিশুদের অপুষ্ঠি রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ দিনই বিহার সরকারের তরফে মুজফফরপুরের সমস্ত সরকারি অফিসার ও কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত বিডিওকে ২৮ জুন পর্যন্ত দফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুজফফরপুরের হাসপাতালের অবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে নিয়মিত লোডশেডিং এবং জলের অভাব ক্রমশ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। একটি বিছানায় কম করে তিন জন থেকে সাত জন রোগীকে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক এবং নার্সদের অবস্থাও তথৈবচ। যা নিয়ে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে।
এ দিনই বৈশালী জেলার গ্রামে শিশু মৃত্যুর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রাম ছেড়ে বাসিন্দারা পালাচ্ছেন বলেও খবর রটেছে। খবর পেয়ে সরকারি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy