দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কাঠগড়ায় উঠতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু সরকারের ‘সাহায্য’ না পাওয়ায় এবং পুলিশের হাতে ‘খুন’ হতে পারেন, সেই আশঙ্কায় ভারতে ফিরতে চাননি দাউদ ইব্রাহিম। আজ সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করলেন প্রবীণ আইনজীবী রাম জেঠমলানী। জানালেন, নব্বইয়ের দশকে লন্ডনে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা হয়েছিল ’৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিমের।
সম্প্রতি একটি দৈনিকের কাছে দাউদের সহযোগী ছোটা শাকিল বলেন, ‘‘১৯৯৩-র পরই আমরা দেশে ফিরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের সরকার অনুমতি দেয়নি। ভাই সে সময় লন্ডনে বসে জেঠমলানীর সঙ্গে কথা বলেন... কথা হয়েও গিয়েছিল। ...কিন্তু আপনাদের মন্ত্রক... ওই আডবাণী খেলাটা খেলল।’’ এর পরই মুখ খুলেছেন জেঠমলানী।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জেঠমলানীর দাবি, ‘‘দাউদ বলেছিলেন তিনি মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত নন। বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতেও তিনি রাজি। কিন্তু আশ্বাস দিতে হবে, তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হবে না। তা হলেই দেশে ফিরবেন।’’ পুলিশের থেকে বাঁচতে জেঠমলানী মারফত সরকারের কাছে সাহায্য চান দাউদ। তাঁর প্রস্তাব ছিল, তিনি আদালতে হাজির হবেন। কিন্তু গ্রেফতার করা যাবে না। নিজের বাড়িতেই থাকতে দিতে হবে তাঁকে। দাউদের আশঙ্কা ছিল, জেলে পুরেই তাঁর উপর বীভৎস্ অত্যাচার চালাবে পুলিশ। তাঁকে মেরেও ফেলতে পারে। জেঠমলানী জানান, তিনি ওই প্রস্তাব মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শরদ পওয়ারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পওয়ার দাউদের সেই আর্জি খারিজ করে দেন। প্রবীণ আইনজীবী যে দাউদ-প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তা স্বীকার করে নেন শরদ পওয়ারও। কিন্তু বলেছেন, ‘হ্যাঁ, জেঠমলানী একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল মুম্বই এলে দাউদকে গ্রেফতার করা যাবে না। তাঁকে বাড়িতেই থাকতে দিতে হবে। কী ভাবে সেটা মেনে নিই, যেখানে ওই লোকটির বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা?’’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন পওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy