আইইডি বিস্ফোরণে প্রায় ১০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয় দন্তেওয়াড়ায়। ছবি: পিটিআই।
ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় ১০ পুলিশকর্মী হত্যায় ‘কম্যান্ড আইইডি’ ব্যবহার করেছিলেন মাওবাদীরা? হামলার ধরন দেখে অন্তত তেমনই দাবি করেছে পুলিশ। গত বুধবার পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চালান মাওবাদীরা। তাতে ডিসট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর ১০ জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৫০ কেজি ইমপ্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)।
পুলিশের এক সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে আইইডি রাস্তার নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এত দিনের মধ্যেও কেন ওই বিস্ফোরকের হদিস পেল না পুলিশ? আর এটাই নাকি হামলা চালানোর জন্য মাওবাদীদের সবচেয়ে পছন্দের। যেটাকে ‘কম্যান্ড আইইডি’ বা ‘ওয়্যারড আইইডি’ বলা হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর এটিই পুরনো কৌশল মাওবাদীদের।
এক সংবাদমাধ্যমকে সিআরপিএফের প্রাক্তন ডিজি কুলদীপ সিংহ বলেন, “যুগ যুগ ধরে এই ধরনের হামলাই চালাচ্ছেন মাওবাদীরা। আইইডি পুঁতে রেখে হামলা চালানো সবচেয়ে সহজ পন্থা তাঁদের কাছে। শুধু তাই-ই নয়, এ কাজে স্থানীয়দেরও সহযোগিতা পেয়ে যান মাওবাদীরা। রাস্তা তৈরির সময় অথবা রাস্তা সারাইয়ের সময় ৪-৫ ফুট গর্ত করে তার মধ্যে বিস্ফোরক রেখে ভাল করে চাপা দিয়ে রাখা হয়। তার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়। ফলে সেই বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে পারে না মাইন হদিসকারী যন্ত্র।” বুধবারে দন্তেওয়াড়ায় যে হামলা চালানো হয়েছিল, সে ক্ষেত্রেও একই কৌশল নিয়েছিলেন মাওবাদীরা।
‘কম্যান্ড আইইডি’ কী?
‘কম্যান্ড আইইডি’ বা ‘ওয়্যারড আইইডি’ হল বিস্ফোরককে দূর থেকে ‘ডিটোনেট’ করা। ২০০-৩০০ মিটার দূর থেকে তারের মাধ্যমে সেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বস্তার রেঞ্জের পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি বলেন, “বিস্ফোরকের সঙ্গে যে তার জুড়ে দেওয়া হয়, সেটি রাস্তা থেকে অনেক দূর পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই মাটির উপর আগাছা, ঘাস ইত্যাদি গজিয়ে ওঠায় সেই তার চিহ্নিত করা যায় না। ফলে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় মাওবাদীদের কাছে।
বর্তমানে মাওবাদীদের এই কৌশল নিচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিরাও। সেনার উপর হামলা চালাতে ‘কম্যান্ড আইইডি’ ব্যবহার করছে তারা। তবে মাওবাদীদের সঙ্গে জঙ্গিদের হামলার ফারাক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআরপিএফের প্রাক্তন ডিজি কুলদীপ। তাঁর কথায়, “জঙ্গিদের থেকে আলাদা মাওবাদীরা। তাঁরা নিজেদের সঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেন। শুধু তাই-ই নয়, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যাতে সংঘাতে যেতে না হয়, যাতে কোনও সঙ্গীকে হারাতে না হয়, তাই এই ধরনের হামলা চালান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy