পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক দলিত ছাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম পেনুমালা বিদ্যা প্রিয়ঙ্কা। সোমবার মেডিক্যাল কলেজ অ্যাকাডেমির সুইমিং পুলের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পেনুমালার দেহ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন তাঁদের মেয়ে। সহপাঠীরা পেনুমালাকে নীচু জাত বলে খোঁচা দিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট (এনইইএটি)-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হায়দরাবাদের একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন পেনুমালা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই ১৮ বছর বয়সি ছাত্রীর দেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। অন্য দিকে, মৃতার বাবা পেনুমালা প্রভাকর রাওয়ের অভিযোগ, মেয়ের সহপাঠীরা তাঁকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন। মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন তাঁরাই। প্রভাকরের দাবি, আগেও মেয়ে তাঁকে এই হেনস্থার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের মনের জোর বাড়ানোর জন্য প্রায়শই ফোনে কথা বলতাম। কিন্তু ও খুব ভেঙে পড়েছিল। সোমবার রাতেও কথা হয়েছিল। মেয়ে বলছিল ক্লাস আছে, পরে কথা বলবে। এর কিছু ক্ষণ পরেই ওর মৃত্যুর খবর পাই।’’ তাঁর এ-ও অভিযোগ, মেয়েকে হেনস্থা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে বাবা-মায়ের কাছে মাপ চেয়েছেন ছাত্রী। লিখেছেন, মানসিক চাপে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। ওই চিঠিটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy