ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় তওকত। মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে গুজরাত উপকূলে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তওকতের। গুজরাত ও দিউ উপকূলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরলে নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে কাসারগডে কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একটি দোতলা বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। বড় ঢেউয়ের কারণে সমুদ্র তীরবর্তী রাস্তাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির ফলে কোচিতে উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছিল।
কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে জাতীয় বিপর্যয় মেকাবিলা বাহিনীর পঞ্চাশটিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত কেরল, কর্নাটক ও গোয়ার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টি ও ধস হতে পারে গুজরাতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। লক্ষদ্বীপের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তামিলনাড়ু ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোভিডের মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় প্রশাসনকে বেগ দিতে পারে।