কখনও সফল হচ্ছে, কখনও আবার ব্যর্থ। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিকারকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর যে কারণে প্রতি দিন দেশে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর মতো ঘটনা বাড়ছে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এক মহিলাকে পুলিশ সেজে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল সাইবার অপরাধীরা। কিন্তু সেই কৌশল ধরা পড়তেই মহিলাকেই তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তেমনটা হয়নি কিন্তু উত্তরপ্রদেশেরই নয়ডার সেক্টর ৭৭-এর এক মহিলা এবং তাঁর কন্যার সঙ্গে। তাঁরা ফাঁদে পা দেন এবং ৩৭ লক্ষ টাকা খোয়ানও।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে তাদের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেখানে জানানো হয়, প্রতারণা করে ৩৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ঘটনা সেটি বুঝতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের। জানা গিয়েছে, ২৭ নভেম্বর রাতে নয়ডার ওই মহিলার কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ট্রাই)-র আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে মহিলাকে জানানো হয়, তিনি এবং তাঁর কন্যার আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি সিমকার্ড নেওয়া হয়েছে। আর সেই সিমকার্ড মানবঅঙ্গ পাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মহিলা জানান, এর পরই ভিডিয়ো কল আসে তাঁদের কাছে। মুম্বই পুলিশের উর্দি পরা কয়েক জনকে দেখা যায় ভিডিয়োতে। ভিডিয়ো কলে মহিলাকে এক জন হুমকির সুরে জানান, তাঁদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যদি কোনও সহযোগিতা না করেন, তা হলে এনকাউন্টারও করা হতে পারে। আর এ কথা শুনেই ঘাবড়ে যান মহিলা এবং তাঁর কন্যা। তার পর তাঁদের কাছে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে বলা হয়। না দিলে গ্রেফতারি নিশ্চিত সেই হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কথামতো, ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন মহিলা। চার দিন ধরে কয়েক ধাপে ৩৬ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে বলে দাবি মহিলার। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। ২ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy