ইম্ফল-উখরুল রাস্তার উপরে সেনাদের গাড়ির সামনে বসে পড়েন কয়েকশো মহিলা। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে কখনও আটকা পড়ছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, কখনও ফিরে আসতে হচ্ছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলকে। আজ দুপুরে ইম্ফল-উখরুল সড়কের গোয়ালটাবিতে একদল সশস্ত্র যুবক নাগাড়ে গুলি চালায়। তাতে কেউ জখম না হলেও ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। থেমে যায় গাড়িঘোড়া। খবর পেয়ে সেনা জওয়ানেরা ঘটনাস্থলে রওনা হলে পথে মহিলারা তাঁদের আটকে দেন। ইম্ফল-উখরুল রাস্তার উপরে সেনাদের গাড়ির সামনে বসে পড়েন কয়েকশো মহিলা।
অস্ত্র লুটের তদন্তে যাওয়া সিবিআইয়ের দলকে একই ভাবে মণিপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজে ঢুকতে দেননি প্রায় দু’হাজার মহিলা। তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসেন। গত ৩ মে মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হলে পাঙ্গেইয়ের এই পুলিশ ট্রেনিং কলেজ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিগোলা লুট হয়েছিল। হেইঙ্গাং থানা নিজে থেকে মামলা দায়ের করে ওই সব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। ৪ মে কুকি জনতা কাংপোকপি থানায় হানা দিয়ে বেশ কিছু বন্দুক তুলে নিয়ে যায়। পরে একই ভাবে অস্ত্র লুটের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটে। ঠিক ক’টি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের কত আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া গিয়েছে, ক’টি উদ্ধার হয়েছে, সে সব জানতে সিবিআই দলটি বুধবার হেইঙ্গাং থানায় যায়। অস্ত্রশস্ত্র সংক্রান্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখে। কিন্তু পুলিশ ট্রেনিং কলেজে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন এবং সে রাজ্যের কুকি-জেমিদের জন্য পৃথক প্রশাসনের দাবি জানিয়ে নর্থ আমেরিকান মণিপুর ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে স্মারকপত্র পাঠিয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় মোদীর নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অসমের বহু বিশিষ্ট নাগরিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy