বানভাসি পবিতরা অভয়ারণ্য। শুকনো ডাঙার খোঁজে একশৃঙ্গ গন্ডাররা। মঙ্গবার অসমের মরিগাঁওতে। ছবি: পিটিআই।
চারপাশে ফুঁসতে থাকা ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে মাথা তুলে থাকা একটা ছোট্ট চর। বন্যার জল থেকে কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে গত তিন দিন ধরে অসমের ডিব্রুগড়ের মাইজানের কাছে ওই ছোট্ট চরেই প্রাণ হাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ১৩ জন মৎস্যজীবী। আজ প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে বায়ুসেনার একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ওই চর থেকে তাঁদের উদ্ধার করে আনল। ধেমাজি জেলার জনাইতে বন্যাত্রাণের কাজে যাওয়ার সময়ে বালির চরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আট সদস্য ও রাজস্ব দফতরের এক কর্মী। বায়ুসেনা তাঁদেরও উদ্ধার করে।
এই মুহূর্তে অসমের ২৮টি জেলার ২২০৮টি গ্রাম বন্যাকবলিত। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৪৬ জন। ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে ১৩০টি। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন সাড়ে আঠারো হাজার মানুষ। বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩৮। নিখোঁজ ১। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ বোকাখাতের ভাঙা বাঁধ ও বানভাসি কাজিরাঙার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কাজিরাঙায় ২৩৩টি বন শিবিরের মধ্যে ১৬৭টি জলমগ্ন। ডুবে মারা গিয়েছে ৪টি হগ ডিয়ার। ২৪টি হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy