ফাইল চিত্র।
রাজ্যের এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এক প্রাক্তন সাংসদ! বিরল এবং প্রায় বেনজির এমন সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন থাকলেও এমন নিয়োগে নীতিগত বা সাংগঠনিক কোনও সমস্যা নেই বলে সিলমোহর দিচ্ছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিও।
কেরলে নতুন নজির গড়ে পিনারাই বিজয়নের সরকার টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে তফসিলি জাতি ও জনজাতি কল্যাণ এবং দেবস্বম মন্ত্রী করা হয়েছে কে রাধাকৃষ্ণনকে। রাজ্যের বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মস্থান সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করে দেবস্বম দফতর। সেই রকম একটি দফতরের দায়িত্বে সর্বভারতীয় দলিত সংগঠনের নেতা রাধাকৃষ্ণনকে এনে সারা দেশের নজর কেড়েছিল কেরলের সিপিএম। এ বার সেই রাধাকৃষ্ণনেরই ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করতে পাঠানো হচ্ছে দলের তিন বারের প্রাক্তন সাংসদ অনিরুধন সম্পতকে। আট্টিঙ্গল লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ সম্পত হেরে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তার পরে দিল্লিতেই রাজ্যের একটি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এর পর থেকে তাঁর কাজের ঠিকানা হবে তিরুঅনন্তপুরমের স্বাস্থ্যমঙ্গলমে রাজ্য সচিবালয়।
বিরোধী রাজনৈতিক শিবির স্বভাবতই এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের ভি ডি সতীশনের মতে, সরকারি অফিসারের ‘পুল’ থেকে বা দলের মনোনীত কাউকে মন্ত্রীরা তাঁদের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিতে পারেন। কিন্তু এক জন সাংসদকে সেই দায়িত্বে রাখা ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা’র পরিচয়! তা ছাড়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও এখানে প্রথম সারির কোনও দফতরের দায়িত্বে নেই।
সিপিএমের যুক্তি অবশ্য ভিন্ন। তাদের বক্তব্য, মন্ত্রী রাধাকৃষ্ণনই সম্পতের সাহায্য চেয়েছিলেন। সম্পত তাতে স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছেন, তিনি দিল্লি ছেড়ে আসতে চান। অতীতেও দু’জনে একসঙ্গে এক সংগঠনে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ‘অন্যায়’ কিছু নেই বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। দলের কেরল রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘রাধাকৃষ্ণন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সম্পত তিরুঅনন্তুপুরম জেলা কমিটির সদস্য। প্রথম জনের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দ্বিতীয় জনকে নিয়োগ করতে দলের কাঠামোয় কোনও অসুবিধা নেই, কেন্দ্রীয় কমিটির কাছ থেকে তা যাচাই করে নেওয়া হয়েছে। দলের পরবর্তী রাজ্য কমিটির বৈঠকেও এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে।’’
এরই পাশাপাশি, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাংসদ এলামারাম করিম এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কে জে টমাসকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিশন গড়া হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী জি সুধাকরনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার ও কাজে গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য। সুধাকরনকে এ বার টিকিট দেয়নি দল। তাঁর আম্বালাপুঝা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের নতুন প্রার্থীই জিতেছেন তবে ব্যবধান কমেছে। জিতে যাওয়ার পরে কোনও কেন্দ্রে ‘অন্তর্ঘাতের’ অভিযোগের তদন্তে এমন কমিশনও বিরল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy