টিকা পেয়েছেন মৃত হরদাসভাই।
কেউ মারা গিয়েছেন বছর তিনেক আগে। কেউ মাসখানেক আগে। কারও মৃত্যু আবার এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের সকলকেই নাকি দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। এই মর্মে তাঁদের পরিবারের লোকের কাছে এসেছে এসএমএস! সেই এসএমএসে রয়েছে টিকাপ্রদানের শংসাপত্র সংগ্রহ করার লিঙ্কও। গত এক মাসে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনার খোঁজ মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে। সারা দেশে যখন টিকার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ উঠছে, সেই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গুজরাতের রাজকোটের জেলার উপলেতার বাসিন্দা ছিলেন হরিদাসভাই করিঙ্গিয়া। ২০১৮ সালে মারা যান তিনি। পরিবারের লোকের কাছে হরিদাসভাইয়ের মৃত্যুর শংসাপত্রও রয়েছে। ৩ মে তাঁর পরিবারের লোকের কাছে এসএমএস আসে। হরিদাসভাইয়ের কোভিড টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনকি টিকাকরণের শংসাপত্রও পেয়েছেন তাঁর পরিবারের লোক। সেই শংসাপত্র দেখিয়ে হরিদাসভাইয়ের ভাইপো অরবিন্দ করিঙ্গিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি না কী করে এটা সম্ভব হল।’’
এ রকম অবাক করা ঘটনা ঘটেছে দাহদ জেলার বাসিন্দা নরেশ দেসাইয়ের সঙ্গেও। নরেশ মারা গিয়েছেন ২০১১ সালে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর পরিবারের লোকের কাছেও এসেছে টিকা পাওয়ার এসএমএস। দাহদের লিমদি এলাকার বাসিন্দা ৭২ বছরের মধুবেন শর্মার সঙ্গেও ঘটেছে একই ঘটনা। মধুবেন কোভিডের প্রথম টিকা নিয়েছিলেন ২ মার্চ। ১৫ এপ্রিল মৃত্যু হয় তাঁর। তবে কোভিড নয়, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। সেই মধুবেন নাকি দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন মে মাসে। মে মাসে তাঁর ছেলে নীলু শর্মার কাছে এসেছে এ রকমই বার্তা।
এখনও পর্যন্ত গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় এ রকম ১০টিও বেশি ঘটনার সন্ধান মিলেছে। এই বিষয়গুলির কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভ ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। মৃতের পরিজনরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি করে টিকা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও দেখান। বিষয়টি নিয়ে তদন্তেরও দাবি করেছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দাহদের স্বাস্থ্য অফিসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy