গত ১০ মাসে বিহারের প্রায় দেড় হাজার করোনা রোগীকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন গৌরব রাই।
মাস কয়েক আগে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল ৭ দিন। বিপদের সময় একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার কী অসাধ্য সাধন করতে পারে, তা তখন বুঝেছিলেন পটনার গৌরব রাই। ঠিক করেছিলেন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারলে করোনা রোগীদের অক্সিজেন জুগিয়ে সাহায্য করবেন। তার পর থেকে গত ১০ মাসে বিহারের প্রায় দেড় হাজার করোনা রোগীকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন তিনি।
বিহারে বাড়তে থাকা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে গৌরবের অক্সিজেন পরিষেবার কথা ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। গৌরব রোগীর দরজায় অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তাই নেটাগরিকরা তাঁর নাম দিয়েছেন ‘অক্সিজেন মানব’। শুধু গত কয়েক সপ্তাহেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৮৭০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছেন গৌরব। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো অক্সিজেন সঙ্কট তৈরি হয়েছে বিহারেও। হাসপাতালের ভর্তি হওয়া রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করাটাই এখন প্রশাসনের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে গৌরব তাঁর নিজের খরচে নিভৃতবাসে থাকা রোগীদের নিরন্তর অক্সিজেন জুগিয়ে চলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাই তিনিই হয়ে উঠেছেন বিহারের করোনা রোগীদের বাঁচার অক্সিজেন, ‘অক্সিজেন মানব’।
মাত্র ৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে শুরু হয়েছিল গৌরবের অক্সিজেন ব্যাঙ্ক। এখন সেই ব্যাঙ্কেই ১০ কেজি ওজনের ১৫০টি সিলিন্ডার। প্রথমে নিজেই গাড়ি করে পৌঁছে দিতেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সম্ভব হয় না। রোগীর আত্মীয়দেরই তাঁর বাড়ি থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে নিতে বলেন গৌরব। তবে সমস্যা হলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে তাঁর।
একটি বেসরকারি সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার গৌরব। বয়স ৫০। প্রতি মাসে নিজের বেতন থেকে তিনি ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেন অক্সিজেনের জন্য। এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুরাও আর্থিক সাহায্য করেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন গৌরবের। গত সেপ্টেম্বরে বিহারের একটি সংস্থা তাঁকে ২০০টিরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ায় ব্যাঙ্ক অনেকটাই সমৃ্দ্ধ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy