বিরল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট নির্বাণ। ছবি: ফেসবুক।
শিশুপুত্রের বয়স মাত্র ১৫ মাস। এরই মধ্যে বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। যার চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে যখন বাবা, মায়ের নাভিশ্বাস উঠছে, সেই সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আচমকা ১১ কোটি টাকা পেলেন তাঁরা। কে টাকা দিল, নামটুকুও জানা যায়নি। অচেনা সেই সহৃদয় ব্যক্তির উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দম্পতি।
কেরলের বাসিন্দা সারাং মেনন এবং অদিতি মুম্বইতে থাকেন। সম্প্রতি তাঁদের সন্তান নির্বাণের কঠিন রোগ ধরা পড়েছে। বিরল জিনগত রোগ এসএমএ টাইপ ২-এর শিকার ছোট্ট এই শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ। জ়োলগেনস্মার এক একটি ডোজ়ের দাম সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে ভারতে ওষুধটি আসতে সময় লাগে অন্তত ২০ দিন। কী ভাবে ছেলের চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না দম্পতি। তাঁরা ছেলের চিকিৎসার জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সহৃদয় ব্যক্তিদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। আর তাতেই হল মিরাকল।
একটি অ্যাকাউন্টে আচমকা ১১ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছেন কেরলের ওই দম্পতি। যিনি এই মোটা টাকার অর্থসাহায্য করেছেন, তিনি নিজের নামও জানাননি। ফলে ধন্যবাদ জানানোর কোনও পথ খোলা নেই দম্পতির কাছে। এই নিয়ে শিশুর চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি ৩০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১৮ টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন তাঁরা। কৃতজ্ঞতা স্বীকারের জন্য বেছে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমকেই।
শিশুটির বাবা সারাং জানিয়েছেন, গত ৭ জানুয়ারি তাঁদের সন্তানের অসুখের কথা জানতে পারেন তাঁরা। তার পর থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকা জোগাড় করতে পেরেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে হঠাৎ দেখেন, ১১ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে। প্রথমে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এমন কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য খতিয়ে দেখার পর বিপুল পরিমাণ অনুদানের বিষয়ে নিশ্চিত হন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আনন্দ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই।
অনুদানকারীকে ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলেন দম্পতি। কিন্তু তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। যোগাযোগের কোনও সূত্রও মেলেনি।
আমেরিকা থেকে বহুমূল্য সেই ওষুধটি মুম্বইতে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কাস্টমসে ছাড়ের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন দম্পতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy