দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বেসামাল দেশের বিভিন্ন রাজ্য। মহারাষ্ট্র ছা়ড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজধানী দিল্লি। সপ্তাহখানেক আগে সেখানে ২০০-র নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১৯০১।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, মঙ্গলবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ সোমবারের তুলনায় অনেকটাই কম। সোমবার তা ছিল ৬৮ হাজার মতো। মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ৫৬ হাজার ২১১। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৫৫ জন। তবে মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা গত ৬ দিনের তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৬৪ জনের। আগের ৫-৬ দিন দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল প্রায় ১০-১১ লক্ষ মানুষের।
দেশের মধ্যে নতুন আক্রান্ত সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬৪৩ জন। মুম্বই শহরেও রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন ৫-৬ হাজার মানুষ। কোভিডের জেরে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে কর্নাটকে। সেখানে রোজ নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। গত ১৪ দিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯২১ জন। একই অবস্থা পঞ্জাবে। সেখানেও দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে ৩ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে গত এক সপ্তাহে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই তিন রাজ্যে নতুন সংক্রমণ হয়েছে ২ হাজারের বেশি। হরিয়ানা, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশে তা প্রায় এক হাজার ছুঁইছুঁই। গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। একই চিত্র উত্তরপ্রদেশেও। তুলনায় কেরলে অবস্থার নতুন করে অবনতি হয়নি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। সেখানে দেড় হাজারের আশপাশেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্চের শুরুতেও দেশের দৈনিক মৃত্যু থাকছিল ১০০-১৫০ ঘরে। গত এক সপ্তাহ ধরে তা ২৫০-র বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭১। করোনাভাইরাস এখনও অবধি দেশে প্রাণ কেড়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ১১৪ জনের। তবে দৈনিক আক্রান্তের বৃদ্ধি দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১৮ হাজার ৯১২। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৭২০ জন।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে জারি করা হচ্ছে লকডাউনের কড়াকড়ি। মহারাষ্ট্র জুড়ে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। বেঙ্গালুরুতেও কড়াকড়ি জারি রয়েছে। তবে পূর্ণ লকডাউনের পথে এখনও হাঁটেনি কোনও রাজ্যের সরকার। এ রকম পরিস্থিতিতেই দেশে চলছে টিকাকরণ। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডো়জ মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৯১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৫৪ করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy