Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus update

চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল, দেশে মোট আক্রান্ত ৬৩ লক্ষ ছাড়াল

কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে আট হাজারেরও বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৮২১ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৮২১ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ১০:৩৮
Share: Save:

দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ এক ধাক্কায় ৭০ হাজারে নেমে যাওয়া আশা জুগিয়েছিল। কিন্তু গত দু’দিন তা আবার বাড়ছে। বৃহস্পতিবার তা আবার ৮৬ হাজার পেরিয়ে গেল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার কমেছে। করোনা পরীক্ষাও হয়েছে অনেক বেশি।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৮২১ জন। গতকালের থেকে প্রায় ছ’হাজার বেশি। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪২ হাজার ৭৮৭ ও ৩৩ হাজার ৪১৩। গত দু’মাস ধরেই ওই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।

মোট আক্রান্তের নিরিখে আমেরিকার পরই রয়েছে ভারত। দেশে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৪ জন। সেখানে বিশ্বের আক্রান্তের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৭২ লক্ষ ৩২ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৪৮ লক্ষ ১০ হাজার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৫২ লক্ষ ৭৩ হাজার ২০১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৮৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৩৭৬ জন। এখন ভারতে অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন ন’লক্ষ ৪০ হাজার ৭০৫ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গতকালের থেকে আজ তা কিছুটা কমে হয়েছে ৬.১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৫২ জনের। যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বেশি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার কম হলেও, ইতিমধ্যেই মোট মৃত্যু ৯৫ হাজার ছাড়়িয়েছে এবং দিন দিন তা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১৮১ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৯৮ হাজার ৬৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে করোনা। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৬২ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু ন’হাজার ৫২০। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ৮৬৪। অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা প্রাণ কেড়েছে পাঁচ হাজার ৮২৮ জনের। উত্তরপ্রদেশ (৫,৭৮৪) ও দিল্লিতে (৫,৩৬১) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ (৪,৯৫৮), গুজরাত (৩,৪৫০), পঞ্জাব (৩,৪০৬) ও মধ্যপ্রদেশ (২,৩১৬) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। রাজস্থান, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা ও জম্মু ও কাশ্মীরের মোট মৃত্যুও এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পর তালিকায় রয়েছে বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, অসম, কেরল, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরী, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মোট আক্রান্তের তালিকায় শুরু থেকেই দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। দেশের মোট আক্রান্তের ২০ শতাংশেরও বেশি সেখানে। এখনও অবধি ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। ছ’লক্ষ ৯৩ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। কর্নাটকেও মোট আক্রান্ত ছ’লক্ষ ছাড়াল। তামিলনাড়ুও ছ’লক্ষ ছুঁইছুঁই। উত্তরপ্রদেশে চার লক্ষ ছুঁতে চলেছে সংখ্যাটা। দিল্লিতে দু’লক্ষ ৭৯ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে এখনও অবধি দু’ লক্ষ ৫৭ হাজার জন সংক্রমিত হয়েছেন। ওড়িশাতে প্রায় তিন হাজারের ঘরে বাড়তে বাড়তে ২ লক্ষ ১৯ হাজারে পৌঁছেছে। তেলঙ্গানাতে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯৩ হাজার জন। এ মাসে কেরলের দৈনিক সংক্রমণ বেশ লাগাম ছাড়া। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লক্ষ ৯৬ হাজার জন। বিহার (১.৮২ লক্ষ) ও অসমেও (১.৮০ লক্ষ) আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গুজরাত (১.৩৭ লক্ষ), রাজস্থান (১.৩৫ লক্ষ), হরিয়ানা (১.২৮ লক্ষ), মধ্যপ্রদেশে (১.২৮ লক্ষ), পঞ্জাব (১.১৩ লক্ষ), ছত্তীসগড়ে (১.১৩ লক্ষ) আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড, গোয়া, পুদুচেরি, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলি। এই রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্ত এখনও এক লক্ষের কম।

পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই তিন হাজারের বেশি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে তিন হাজার ২৮১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন দু’লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৯ জন। যদিও এর মধ্যে দু’লক্ষ ২৫ হাজার রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। করোনার কবলে এ রাজ্যে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজার ৯৫৮ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy