ফাইল চিত্র।
কলকাতা থেকে ছ’টি শহরের উড়ান বন্ধের যে-নির্দেশ ছিল, তা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হল। শুক্রবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ এই অনুরোধ করে বিমানসচিব প্রদীপ খারোলার কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তা অনুমোদন করে এ দিন সন্ধ্যায় বিমান মন্ত্রকও জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা থেকে আপাতত দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, পুণে ও নাগপুরের সরাসরি উড়ান বন্ধ থাকবে।
রাজ্যের যুক্তি, কলকাতা তথা রাজ্যে এখন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই সময়ে দিল্লি, মুম্বই-সহ ৬টি শহর থেকে নিয়মিত উড়ানে যাত্রীরা কলকাতায় এলে রাজ্যের করোনা চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই, ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরাসরি উড়ান চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকুক।
এর আগে রাজ্যের অনুরোধে ৬ জুলাই থেকে ১৪ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিমান মন্ত্রক। যদিও উড়ান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সরাসরি উড়ান বন্ধ থাকলেও বহু যাত্রী কলকাতা থেকে অন্য শহর ঘুরে দিল্লি, মুম্বই যাতায়াত করছেন। ফলে, সেই অর্থে এই ছ’টি রাজ্য থেকে লোক আসাটা আটকানো যাচ্ছে না।
সোমবার থেকে ফের এই ছ’টি শহরে উড়ান পরিষেবা চালু হবে, এটা ভেবে যাত্রীরাও টিকিট কেটে রেখেছিলেন। এমনকি, দু’একটি সংস্থা দিল্লি, মুম্বইয়ে উড়ান সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু তা আপাতত ফের স্থগিত।
প্রশ্ন উঠেছে, যে যাত্রীরা টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তাঁদের কী হবে? এঁদের মধ্যে অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা বিদেশ থেকে বন্দে ভারত উড়ানে দিল্লি এসে কলকাতার সরাসরি উড়ান ধরবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন। একটি উড়ান সংস্থা ৬ থেকে ১৯ জুলাই এই কারণে বাতিল হওয়া উড়ানের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছিল। তাদের বক্তব্য, এখন এত লোক টিকিট কেটে রেখেছেন যে টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্য সংস্থাগুলি টাকা ফেরত না-দিয়ে ওই টাকা যাত্রীর খাতে ধরে রাখছে। যাত্রী পরে টিকিট কাটার সময়ে ওই টাকা ব্যবহার করতে পারবেন বলে উড়ান সংস্থা জানিয়েছে।
সমস্যায় পড়েছেন ট্রাভেল এজেন্টরাও। কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করে দুই দেশের মধ্যে বিধিনিষেধ মেনে সীমিত সংখ্যক উড়ান চালু হয়েছে। এর মধ্যে দুবাই ও আবুধাবিও আছে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তি রয়েছে তাই কলকাতায় যাত্রী নিয়ে আসা যাবে না। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকে দুবাইয়ের এমিরেটস এবং আবুধাবির এতিহাদ খালি বিমান নিয়ে কলকাতায় এসে এখান থেকে ইচ্ছুক যাত্রী ও পণ্য নিয়ে যাবে বলে ঠিক করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy