ছবি: রয়টার্স।
রুটিরুজি হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে রেল মন্ত্রক ৪৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে আজ বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিপদের সময়েও গরিবদের উপর লুটতরাজ চালানোর অভিযোগ তুলল।
কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী আজ বলেন, ‘‘অসুখের মেঘ ছেয়ে রয়েছে। মানুষ সমস্যায় রয়েছে। সেই বিপদকে মুনাফায় বদলে ফেলে গরিব-বিরোধী সরকার আয় করে চলেছে।’’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, ‘‘গরিবদের কষ্ট থেকে মুনাফা করাটাই মোদীনমিক্স। এই মনোভাবটাই লজ্জাজনক।’’ এর আগে লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির সঙ্কটের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের উপর শুল্ক বাড়িয়েও, আমজনতার উপর বোঝা চাপিয়ে সরকার নিজের আয় বাড়াচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল।
রাহুলের অভিযোগের জবাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আজ পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “দেশে লুটতরাজ চালানো লোকেরাই ভর্তুকিকে মুনাফা বলতে পারে!” সনিয়া গাঁধী রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁরা যেন পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিট কেটে বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করে দেন। গয়ালের কটাক্ষ, “লোকে জানতে চাইছে, সনিয়াজির টিকিটের পয়সা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কী হল?”
পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে রেল কেন ট্রেনের ভাড়া আদায় করছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালুর পরেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্নের মুখে রেল তখন বলে, ট্রেন চালানোর পুরো খরচ রেল বহন করছে। পরে কেন্দ্র দাবি করে, রাজ্যগুলি শ্রমিকদের টিকিট কেটে দেওয়া সত্বেও রেল ৮৫ শতাংশ খরচ বহন করছে। আজ রেলমন্ত্রীর দাবি, রাজ্য সরকারের থেকে শ্রমিকদের ভাড়া বাবদ যে টাকা আদায় হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি টাকা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাতে খরচ হয়েছে। রেলের হিসেব, শ্রমিক স্পেশাল থেকে ভাড়া বাবদ রেলের প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। আর ওই সব ট্রেন চালাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ শ্রমিক স্পেশাল চালানোর ৮২ শতাংশ খরচ রেলই বহন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy