ফাইল চিত্র।
আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলিতে প্রায় ৬ কোটি প্রতিষেধক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেইসঙ্গে টিকা কেন্দ্রগুলিতে ভিড় এড়াতে ও মানুষকে যাতে টিকাকেন্দ্র থেকে ঘুরে না আসতে হয়, তার জন্য আগেভাগেই রাজ্যগুলিকে পরিকল্পনা করে রাখার পরামর্শও দিল। তবে দেশের জনসংখ্যার তুলনায় প্রতিষেধকের ওই সংখ্যা নগণ্য বলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ সরব হয়েছেন।
গত এক মাসের বেশি দেশ জুড়ে প্রতিষেধকের হাহাকার দেখা গিয়ছে। বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিষেধকের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র। এ জন্য কেন্দ্রের প্রতিষেধক নীতিকে দায়ী করে সরব বিরোধী রাজ্যগুলি। সমালোচনার জবাব দিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক চিঠি লিখে রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত দেশের সব রাজ্যের জন্য ৫,৮৬,২৯,০০০ ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে। যা মূলত ৪৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কোন রাজ্যে কত প্রতিষেধক যাবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। একই সঙ্গে জুনের মধ্যে রাজ্যগুলি ৪,৮৭,৫৫,০০০ ডোজ প্রতিষেধক সংস্থাগুলির কাছ থেকে কিনতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
টিকার অভাবে বহু টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে মানুষকে ফিরে আসতে হচ্ছে। কোথাও বন্ধ করে দিতে হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র। এ ছাড়া রাজ্যের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্র যে প্রতিষেধক পাঠাচ্ছে সেই তথ্য শেষ সময়ে জানতে পারছে রাজ্যপ্রশাসন। ফলে পরিকল্পনা করে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিষেধক বণ্টনের সুযোগ থাকছে না রাজ্যগুলির কাছে। পাল্টা যুক্তিতে আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, কী পরিমাণ প্রতিষেধক পাঠানো হবে সেই তথ্য ১৫ দিন আগেই রাজ্যগুলিকে জানানোর নীতি নিয়েছে তারা। আর এ বার তো ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যগুলির কাছে কত প্রতিষেধক যাবে, তা আজই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে রাজ্যপ্রশাসন জেলাভিত্তিক টিকাকরণের পরিকল্পনা আগেভাগেই করে রাখতে পারে।
তবে রাহুল গাঁধী আজ অভিযোগ তুলেছেন, টিকাকরণের হার যেমন কমছে, কোভিডে মৃত্যুর হারও বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি দেখিয়েছেন, সাত দিনের টিকাকরণের গড় ধরা হলে গত এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক টিকাকরণের হার রোজই কমছে। অন্য দিকে বুধবার সরকারি পরিসংখ্যানই জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,৫২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানার মতো যে সব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেখানেই টিকাকরণের হার কম। মোদী সরকার কত ডোজ টিকা হয়েছে, তার মোট সংখ্যা তুলে ধরছে। যাতে মনে হয়, সংখ্যাটা বিরাট। বাস্তবে মোট জনসংখ্যার তুলনায় টিকাকরণের হার খুবই সামান্য। উল্টো দিকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যার তুলনায় দেখানো হচ্ছে। যাতে তা কম দেখায়। রাহুলের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি হল, অন্য দিকে নজর ঘোরাও। মিথ্যে ছড়াও। শোরগোল করে তথ্য গোপন করো।”
কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির বক্তব্য, প্রতিষেধকের অভাবই টিকাকরণের হার কমে যাওয়ার কারণ। ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার উপরে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জোর দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রতিষেধকের প্রবল চাহিদা। কিন্তু তাঁদের জন্য টিকার অভাব দেখা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy