প্রতীকী ছবি।
‘পাইলট প্রকল্প’ হিসেবে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি প্রতিষেধকের সীমিত সংখ্যক প্রয়োগ আজ হায়দরাবাদে শুরু করল এ দেশে ওই প্রতিষেধকের উৎপাদন ও বণ্টনের দায়িত্বে থাকা রেড্ডিজ় ল্যাবরেটরিজ়। চলতি মাসের মধ্যে ভারতে প্রতিষেধকটির ৩.৬ কোটি ডোজ় আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই সংস্থা। পরবর্তী ধাপে, আগামী জুন-জুলাই থেকে দেশেই স্পুটনিক-ভি তৈরি করবে রেড্ডিজ়। আপাতত বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতিষেধকের দাম পড়বে ৯৯৫.৪০ টাকার কাছাকাছি। আগামী দিনে এক ডোজ়ের ‘স্পুটনিক-ভি লাইট’ প্রতিষেধকটিও বাজারে ছাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
গত জানুয়ারি থেকে এ দেশে টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ যাবৎ যে কুড়ি কোটির কাছাকাছি দেশবাসীর টিকাকরণ হয়েছে, তা মূলত হয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকের উপরে নির্ভর করে। কিন্তু দেশে করোনার সংক্রমণ তীব্রতর হওয়ার পাশাপাশি টিকার জোগানে চূড়ান্ত অভাব দেখা দিয়েছে। গত ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য টিকাকরণ শুরু হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষেধকের অভাবে বহু রাজ্য তাদের টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। প্রতিষেধকের জোগান বাড়াতে মেটাতে গত ১৩ এপ্রিল ভারতে জরুরি ভিত্তিতে
স্পুটনিক-ভি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার পরে ওই প্রতিষেধক এ দেশে প্রয়োগের চূড়ান্ত ধাপটি খতিয়ে দেখে কসৌলির সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি। গত কাল তারাও ছাড়পত্র দেয়। তার পরেই আজ হায়দরাবাদে ওই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়।
প্রাথমিক ভাবে স্পুটনিক দুই ডোজ়ের প্রতিষেধক হলেও দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কত হবে, তা জানায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সূত্রের মতে, দু’টি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান তিন থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। তবে একই সঙ্গে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রেভ দাবি করেছেন, ভারতীয়দের কথা ভেবে ‘স্পুটনিক-ভি লাইট’ নামে ওই প্রতিষেধকের উন্নত সংস্করণ এ দেশে ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই প্রতিষেধকের একটি ডোজ়ই যথেষ্ট হবে।
বিভিন্ন দেশে স্পুটনিক-ভি প্রতিষেধকের কারখানা থেকে চলতি মাসের মধ্যে ভারতে মোট ৩.৬ কোটি ডোজ় আমদানি করবে রেড্ডিজ়। পরবর্তী ধাপে দেশীয় ছ’টি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২৫ কোটি প্রতিষেধক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। তার আওতায় আসতে পারেন অন্তত সাড়ে বারো কোটি ভারতবাসী। দিমিত্রেভের অবশ্য দাবি, অন্তত ৮৫ কোটি ডোজ় স্পুটনিক-ভি ভারতের বাজারে ছাড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছে। ভারতে এক বার স্পুটনিকের উৎপাদন শুরু হলে সে ক্ষেত্রে ওই টিকার দাম হাজার টাকার অনেকটাই নীচে নেমে আসবে বলে উৎপাদক সংস্থার দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy