ছবি: সংগৃহীত।
নিম্নমানের পিপিই কিট নিয়ে খবর করার ‘অপরাধে’ উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিককে পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। মণীশ পাণ্ডে নামে ওই সাংবাদিক জানান, তাঁকে লখনউয়ে নিজেদের সদর দফতরে ডেকে এক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গত বছর মির্জাপুরের একটি সরকারি স্কুলের মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের রুটি-নুন খেতে দেওয়ার ছবি তোলার জন্য এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
মণীশ একটি হিন্দি চ্যানেলের সাংবাদিক। তাঁর করা খবরটি ১৭ এপ্রিল সম্প্রচারিত হয়। খবরে একটি চিঠি তুলে ধরা হয়। উত্তরপ্রদেশের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তরফে গত ১৩ এপ্রিল ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের আমলাদের। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের আটটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো বর্মবস্ত্র বা পিপিই অত্যন্ত নিম্নমানের। এই করোনা-সঙ্কটের মধ্যে আমলারা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে এমন নিম্নমানের পিপিই কিট কী করে সরবরাহ করলেন, মণীশের প্রতিবেদনে সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
খবর সম্প্রচারের পরে ৩০ এপ্রিল মণীশকে সদর দফতরে ডেকে পাঠান এসটিএফের এএসপি বিশাল বিক্রম সিংহ। ১ মে মণীশকে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। অভিযোগ, বারবার সাংবাদিকের কাছে তাঁর খবরের ‘সূত্র’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জানতে চাওয়া হয়, মণীশ কার কাছ থেকে ওই চিঠিটি পেয়েছেন? কিন্তু মণীশ এই ব্যাপারে কোনও তথ্য পুলিশকে দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে তারা।’’ তবে জিজ্ঞাসাবাদের কথা অস্বীকার করে বিশাল বলেন, ‘‘পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য চা খেতে মণীশকে ডেকেছিলাম। এই চিঠি কে ফাঁস করেছেন, তা জানার জন্য অনেক সাংবাদিকের সঙ্গেই কথা বলছি। এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ নয়।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরতে মরিয়া তৈমুরেরা
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বনাম জীবিকা: আজ থেকে লকডাউনের তৃতীয় দফায় দেশ
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy