প্রতীকী ছবি।
কোভিড রোগীদের সারিয়ে তুলতে ‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ তৈরি করার লক্ষ্যে জার্মান ওষুধ নির্মাতা সংস্থা মের্ক এবং আইএভিআই নামে নিউ ইয়র্কের একটি অলাভজনক স্বাস্থ্য-গবেষণা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার কোভিশিল্ড-সহ করোনার একাধিক সম্ভাব্য টিকা তৈরির বরাত রয়েছে সিরামের হাতে। তবে এই গবেষণাটি টিকা তৈরির থেকে আলাদা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওষুধটি কোভিড আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তুলবে। গবেষণাগারে তৈরি ওষুধের উপাদানগুলি অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, ‘‘আইএভিআই এবং মের্ক-এর সঙ্গে করোনা-যুদ্ধে হাত মেলাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা এবং বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যয়ের ভিত্তিতে আমি নিশ্চিত, একটি সৃজনশীল পথে আমরা এগোচ্ছি। এই পথেই আসবে কোভিডের চিকিৎসা ও সম্ভবত প্রতিরোধের একটি উপায়, যার দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে।’’
এ দিকে, সম্ভাব্য টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর জন্য ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ডিসিজিআই-এর ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেক। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার তথ্য পেশ করে গত ২ অক্টোবর ডিসিজিআই-এর ছাড়পত্র চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। সেই তথ্য খতিয়ে দেখার পরেই তৃতীয় পর্যায়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
একটি মার্কিন চ্যানেলের দাবি, ভারতের ১৩০ কোটি নাগরিকের প্রত্যেককে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য মোদী সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে। বিশেষ সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে চ্যানেলটির বক্তব্য, টিকা দিতে মাথাপিছু ৬ থেকে ৭ ডলার, অর্থাৎ ৫০০ টাকার আশেপাশে খরচ পড়তে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ধরা আছে টিকার দু’টি ডোজ়ের প্রতিটির মোটামুটি দেড়শো টাকা করে খরচ। বাকিটা টিকা মজুত ও পরিবহণের খরচ। সরকার-নিযুক্ত গোষ্ঠীর পরামর্শের ভিত্তিতেই এই হিসেব আন্দাজ করা হচ্ছে বলে চ্যানেলটির দাবি। আরও বলা হয়েছে, এই খরচ ধরা হয়েছে শুধুমাত্র চলতি অর্থবর্ষের জন্য। তার পরেও অর্থের অভাব হবে না।
প্রত্যেক ভারতবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৮০ হাজার কোটি টাকা আছে কি না, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন পুনাওয়ালা। এ ক্ষেত্রে ৫০ হাজার কোটি টাকা আলাদা করে রাখার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, টিকা বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা মুশকিল। প্রথমত টিকা আবিষ্কার হয়নি। দ্বিতীয়ত, টিকার দাম কী হবে, কেউ জানে না। টিকা এলে সরকার তা বিনামূল্যে দেওয়ার জায়গায় থাকবে, নাকি ভর্তুকি দিয়ে টিকা বাজারে ছাড়বে— পুরোটাই জল্পনার স্তরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy