Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Serum Institute Of India

৭৩ দিনে টিকা? ভুয়ো জানিয়ে দিল সিরাম

সিরাম ইনস্টিটিউট আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিষেধক সংক্রান্ত এই খবর সম্পূর্ণ ‘ভুল’ এবং ‘অনুমানমূলক’।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪০
Share: Save:

করোনা-আবহে প্রতিষেধক নিয়ে মাঝেমধ্যেই জল্পনা ছড়াচ্ছে। এ বার জল্পনার কেন্দ্রে প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ওই সংস্থার এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে গত কাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার হতে থাকে, আগামী ৭৩ দিনের মধ্যে ভারতে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাওয়া যাবে। তার প্রেক্ষিতে সিরাম ইনস্টিটিউট আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিষেধক সংক্রান্ত এই খবর সম্পূর্ণ ‘ভুল’ এবং ‘অনুমানমূলক’।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইডিশ-ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রজ়েনেকার সহযোগিতায় ভারতে করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’ উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। অগস্টেই ওই টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় ধাপের ছাড়পত্র তাদের দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। সাধারণত তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হতে ৬ থেকে ৯ মাস লাগে। সিরাম যদিও আশাবাদী, প্রতিষেধক আসতে পারে বছরের শেষে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন গত কাল টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘সব ঠিক মতো চললে, এ বছরের শেষের দিকেই ভারত করোনা প্রতিষেধক পাবে।’’

সিরাম ইনস্টিটিউটের ওই আধিকারিকের বয়ান উল্লেখ করে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, সব ঠিক থাকলে আগামী ৭৩ দিনের মধ্যেই ভারতে করোনার প্রতিষেধক মিলবে। সফল ভাবেই শেষ হয়েছে দু’ধাপের পরীক্ষা। তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মুম্বই, আমদাবাদ-সহ দেশের ২০টি শহরে প্রথম ডোজ় দেওয়াও হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে ২৯ দিন পরে। তার পরে পরীক্ষার ফল জানতে আরও দিন পনেরো সময় লাগবে। প্রতিষেধক বণ্টনের রূপরেখা চূড়ান্ত বলে ওই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মোদীর ‘মিত্র’ ময়ূর, কেউ মুগ্ধ, কারও কটাক্ষ

এই খবর নিয়ে বিভিন্ন স্তরে এবং সংবাদমাধ্যমে চর্চা শুরু হতেই সিরাম ইনস্টিটিউট বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ৭৩ দিনে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার খবর ভুল ও অনুমানমূলক। ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সরকার শুধু ওই প্রতিষেধক উৎপাদন এবং মজুতের অনুমতি দিয়েছে। মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষা সফল হলে যদি সবুজ সঙ্কেত মেলে, তা হলেই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। মানুষের দেহে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ওই প্রতিষেধকের প্রয়োগ ফলপ্রদ হলে, তবেই সেটি বাজারে আনা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy