প্রতীকী ছবি।
কোভিড প্রোটোকল মেনেই আগামিকাল সোমবার থেকে আংশিক খুলে যাচ্ছে বেশ কিছু রাজ্যের স্কুল। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর আংশিক ভাবে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিল কয়েকটি রাজ্য। আনলক-৪ এর নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি) মেনে আংশিক ভাবে স্কুল চালু করা যাবে। তবে নবম শ্রেণি স্তরের নীচের পড়ুয়াদের জন্য নয়। সেই নিয়ম মেনেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ওই সব রাজ্যে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ নিতে পারবেন। তবে এখনই ক্লাস চালু হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। একই পথে হাঁটছে দিল্লি, গুজরাত, কেরল, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারও।
গত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আনলক ৪-এর নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে স্কুল বা ক্লাস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে রাজ্য সরকারগুলি। তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরই স্কুল যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। পড়াশোনায় কোনও বিভ্রান্তি বা সমস্যা থাকলে সেগুলি দূর করতে স্কুল গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে পারবেন এই শ্রেণির পড়ুয়ারা। তার জন্য অবশ্য অভিভাবকদের লিখিত অনুমতি পত্র আনতে হবে। পাশাপাশি স্কুলে ঢোকার আগে থার্মাল চেকিং করতে হবে এবং পড়ুয়াদেরও স্কুলে যেতে হবে মাস্ক পরে। এই সব নিয়ম মেনেই অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহারের মতো রাজ্য এই আংশিক ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ, রাজ্য সরকার বা শিক্ষক ও পড়ুয়া— কারও হাজিরাই বাধ্যতামূলক নয় বলেও ওই নির্দেশিকায জানানো হয়েছিল।
কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকার পরেই কিছু রাজ্য স্কুল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। সোমবার থেকে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্বেচ্ছায় স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ নিতে পারবেন। হাজিরার বাধ্যবাধকতা নেই। করোনা বিধি মেনে প্রাথমিক ভাবে ১৫ দিনের জন্য একই পদ্ধতিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। তার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার। তবে শুধুমাত্র পটনা জেলার স্কুলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সামান্য কিছু হেরফেরে একই রকম ভাবে কিছুটা পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, পঞ্জাবেও শুরু হচ্ছে কিছু স্কুলে। তব কেন্দ্রের নির্দেশিকা মতো কোনও রাজ্যেই কন্টেনমেন্ট জোনে থাকা পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে না।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পাশ হল কৃষি বিল, ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’ বলল কংগ্রেস
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের ধাক্কা বৈঠকে, উত্তরবঙ্গ সফর এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিলেন মমতা
স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রেও কিছু গাইডলাইন দিয়েছিল কেন্দ্র। শিক্ষকদের ৫০ শতাংশের বেশি স্কুলে আসতে পারবেন না। তাঁদেরও থার্মাল চেকিং, মাস্ক বাধ্যতামূলক। তবে বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। সিদ্ধান্ত জানায়নি কোনও রাজ্য সরকারও। স্কুল খোলা বা পঠনপাঠনের সিদ্ধান্ত ছাড়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy