ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস নিয়ে সব রকম ভাবে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের করা সব পদক্ষেপের পাশে দাঁড়াবে কংগ্রেস। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে তিনি আচমকা লকডাউনের সিদ্ধান্তের জন্য মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মতে, এমন আচমকা লকডাউন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্য রকম ভাবে বিষয়টি মোকাবিলার কথাও বলেছেন তিনি। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ভারতের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম। অন্য দেশগুলির মতো পুরোপুরি লকডাউনের পথে না হেঁটে অন্য ভাবে এর মোকাবিলার কথা ভাবা দরকার ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক লোক দৈনিক আয়ের উপরে নির্ভরশীল। এ ভাবে একতরফা অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তা হলে বিপর্যয় হবে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।’’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম মোদী সরকারকে সতর্ক করেছিলেন রাহুল গাঁধী। বলেছিলেন, সরকার এখন থেকে সতর্ক না হলে দ্রুত পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। তার পর থেকে একাধিক বার করোনা নিয়ে মোদী সরকারের শিথিলতাকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। প্রতি বারই সরকার এবং বিজেপির তরফে রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেই রাহুলের করা আক্রমণের জবাবে বিজেপির বক্তব্য ছিল, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি করোনা নিয়ে অকারণে ভয় দেখাচ্ছেন। এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত মঙ্গলবার রাত আটটায় মোদী আচমকা ২১ দিন টানা লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন। মাত্র ৪ ঘণ্টার নোটিসে এই আচমকা লকডাউনের ফলে সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক-মজুর। তাঁদের একটা বড় অংশ ভিন্ রাজ্যে কর্মরত। এঁদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও আছে। এ দিনের চিঠিতে রাহুল দু’টি বিষয়কেই ছুঁয়ে গিয়েছেন। তাঁর দল কংগ্রেসও এ দিন অপরিকল্পিত ভাবে লকডাউনের ঘোষণা নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy