ফাইল চিত্র।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড টিকা তৈরির তিনটি সংস্থা পরিদর্শনে যাবেন। তার জন্য ওই দিন আমদাবাদ, পুণে এবং হায়দরাবাদ শহরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
আমদাবাদে জ়াইলাস-ক্যাডিলার জ়াইকোভ-ডি টিকার কাজ চলছে। মোদী সেখানে যাবেন। তিনি যাবেন পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটে, যেখানে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে। এর সঙ্গেই তিনি যাবেন হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেকে, কোভ্যাক্সিন টিকার অগ্রগতি দেখতে। গত কাল শোনা গিয়েছিল, মোদী ৪ ডিসেম্বর পুণে যেতে পারেন। ওই দিন এক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলেরও সিরাম ইনস্টিটিউটে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজ জানা গিয়েছে, মোদী যাচ্ছেন শনিবার। শুধু পুণে নয়, আমদাবাদ ও হায়দরাবাদও তাঁর গন্তব্য তালিকায় রয়েছে।
দিল্লির এমস-এ আজই কোভ্যাক্সিন টিকার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হল। এমস-এরই নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের প্রধান, চিকিৎসক এম ডি পদ্মা এবং আরও তিন জন স্বেচ্ছাসেবী এ দিন টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে ওই ডোজ় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে টিকাকরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামাল দেওয়ার পরিকাঠামো এবং নজরদারি ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে বলেছে। দিল্লির ইমিউনাইজ়েশন অফিসার সুরেশ শেঠ দাবি করেছেন, হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের সাহায্য নিলে এক মাসের মধ্যে পুরো দিল্লির টিকাকরণ সম্ভব।
এই মুহূর্তে কোভিডে মৃত্যুর হার দিল্লিতেই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জন মারা গিয়েছেন সেখানে। গোটা দিল্লিতে এখন ভেন্টিলেটর-সহ আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে মাত্র ২০৫টি। অন্তত ৬০টি হাসপাতালে কোভিডের কোনও শয্যাই খালি নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজারেরও বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে দেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, তার ৬০.৭২ শতাংশই এসেছে ৬টি রাজ্য থেকে। যার মধ্যে রয়েছে, কেরল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যুর ৬০.৫০ শতাংশ ঘটনাও ওই ছ’টি রাজ্যেই ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪,৪৮৯ এবং ৫২৪।
আরও পড়ুন: ২৬/ ১১-র ‘ভয়াবহ ধ্বংসলীলা’ ভুলতে পারেননি রতন টাটা
এক দিনের মধ্যে কেরলে নতুন করে ৬৪৯১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার পরেই মহারাষ্ট্র, ৬১৫৯ জন। তার পরে দিল্লি। ৫২৪৬ জন। মৃত্যুতে এগিয়ে দিল্লি। তার পর মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৬৫ ও পশ্চিমবঙ্গে ৫১ জন মারা যান।
দেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ গত অগস্ট মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানাল আইসিএমআরেরে দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষা। দশ বছরের বেশি বয়সিদের উপরে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি পাওয়া গিয়েছে শহুরে বস্তি এলাকায়। তার পরেই গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ বেশি বলে জানিয়েছে ওই সমীক্ষা।
আরও পড়ুন: মোদীকে গ্রেটার হায়দরাবাদে ভোটপ্রচারে আসার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ওয়েইসি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy