Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
migrated labours

‘পাথর খেয়ে তো বাঁচব না’

দিল্লি থেকে শ্রমিকদের এই স্রোতটি মূলত বিহার ও উত্তরপ্রদেশমুখী।

ঘরে ফেরার আশায়। ছবি: রয়টার্স।

ঘরে ফেরার আশায়। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০৪:১০
Share: Save:

১০ মাসের ছেলেকে কাঁধে নিয়ে হাঁটা শুরু করেছেন বান্টি। পাশে জিনিসপত্র নিয়ে হাঁটছেন তাঁর স্ত্রী। হাঁটতে হাঁটতেই বললেন, ‘‘দিল্লিতে তো আর পাথর খেয়ে বেঁচে থাকতে পারব না।’’

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই নানা বড় শহর থেকে গ্রামের দিকে রওনা হতে দেখা গিয়েছে ভিন্ রাজ্য বা এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের। শহরে থাকলে অনাহারে মরার ভয় তাঁদের। দিল্লি থেকে শ্রমিকদের এই স্রোতটি মূলত বিহার ও উত্তরপ্রদেশমুখী। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় হেঁটেই গ্রামে ফিরছেন তাঁরা।

কেন্দ্র অবশ্য আজ এক নির্দেশিকায় বলেছে, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেই।

বান্টির গ্রাম দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে। বললেন, ‘‘হেঁটে পৌঁছতে দু’দিন লাগবে। গ্রামে নুন রুটি খেলেও শান্তিতে থাকব।’’ দিল্লির সীমানা সিল করেছে সরকার। কিন্তু এই শ্রমিকেরা এখন শাঁখের করাতে পড়েছেন। তাই যে ভাবেই হোক গ্রামে পৌঁছতে মরিয়া তাঁরা।

প্রায় একই চিত্র মহারাষ্ট্রেও। পুণেতে কাজ করেন চন্দ্রপুর জেলার বাসিন্দা নরেন্দ্র শেলকে। লকডাউনের ঘোষণার পরে পুণে থেকে নাগপুরগামী শেষ ট্রেন ধরেছিলেন। কিন্তু নাগপুর থেকে নিজের গ্রামে ফেরার বাস বা গাড়ি পাননি। নাগপুর-নাগভিড় সড়ক ধরে হাঁটতে শুরু করেন। দু’দিন কাটিয়েছিলেন কেবল জল খেয়ে।

১৩৫ কিলোমিটার হাঁটার পরে শিন্ডেওয়াহি তহসিলে শিবাজি স্কোয়ারের কাছে পরিশ্রমে খিদেয় অসুস্থ অবস্থায় শেলকেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশের এই মানবিক মুখের পাশাপাশি উঠে এসেছে অন্য চিত্রও। উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ শহরের একটি ভিডিয়োয় এক দল যুবককে হামাগুড়ি দিয়ে, লাফিয়ে চলতে বাধ্য করতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে। ওই যুবকেরা ভিন্ এলাকার শ্রমিক। তাঁরা হেঁটে নিজেদের গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তখনই নিষেধাজ্ঞা না মানার জন্য পুলিশ তাঁদের ‘শাস্তি’ দেয়। বদায়ুঁ পুলিশের প্রধান এ কে ত্রিপাঠির বক্তব্য, ‘‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি লজ্জিত। উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy