প্রতীকী চিত্র।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। পরিস্থিতি সামলানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মোটেই সহজ হবে না। সে কথা আজ মেনেও নিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর আশঙ্কা, আগের দু’টি সংক্রমণের ঢেউয়ের তুলনায় মারাত্মক হতে পারে তৃতীয়টি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ৭৭৪৫ জন নতুন করে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন। আজ দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দিল্লিতেই। পিছনে ফেলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র-কেরলকে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এই দুই রাজ্যকে ৭ নভেম্বরও টপকে গিয়েছিল দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯০ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দিল্লিতেই মারা গিয়েছেন ৭৭ জন।
সত্যেন্দ্র বলেন, ‘‘সংক্রমণ এখন শীর্ষে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন, এই পরিস্থিতি আরও ৪-৫ দিন থাকবে। দিল্লিতে মৃত্যুর হার ১.৫৯%।’’ তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না।’’ সত্যেন্দ্র জানান, করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে ১১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানো হয়েছে।
এ দিকে টাটা গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেড় ঘণ্টায় কোভিড টেস্টের ফল জানা যাবে, এমন একটি কিট নিয়ে এসেছে তারা। চেন্নাইয়ের একটি কারখানায় তা তৈরি হচ্ছে। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই কিট দিয়ে ডিসেম্বর থেকেই হাসপাতাল ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবগুলিতে টেস্ট করা যাবে বলে জানিয়েছেন টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকসের সিইও গিরিশ কৃষ্ণমূর্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy