এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে ১০ লক্ষ মানুষের বাস।
আক্রান্তের নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভি বস্তি এলাকা আশার আলো দেখাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে। এশিয়ার বৃহত্তম ওই বস্তিতে ১০ লক্ষ মানুষ বাস করলেও, গত ছ’দিনে এক জন কোভিড আক্রান্তেরও মৃত্যু হয়নি সেখানে। বরং যে ১৮৯৯ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৯৩৯ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি) কর্তৃপক্ষের তরফেই এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ১ জুন ৩৪ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়লেও, রবিবার সংখ্যাটা নেমে আসে ১০-এ। বিএমসি-র জি নর্থ ওয়ার্ডের সহকারী মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিরণ দিগভকর বলেন, ‘‘গত ছ’দিনে ধারাভিতে এক জন কোভিড রোগীরও মৃত্যু হয়নি। আমরা যে সঠিক পথ থরে এগোচ্ছি, এটাই তার প্রমাণ। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে।’’
এখনও পর্যন্ত ধারাভিতে মোট ১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানান কিরণ দিগভকর। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৯৭৫। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৬০ জন। এমন পরিস্থিতিতে ধারাভি আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করেন কিরণ দিগভকর। তাঁর মতে, উপসর্গ দেখা দিলেই যাতে পরীক্ষা করা যায়, তার জন্য ধারাভি এলাকায় একাধিক ‘ফিভার ক্লিনিক’ খোলা হয়েছে। ব্যপক হারে মিডিক্যাল স্ক্রিনিং ও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে। তাতেই ফল মিলেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৯৮৩, মোট আক্রান্তে শুধু মহারাষ্ট্রই টপকে গেল চিনকে
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে করোনা আক্রান্ত ৪৪৯, মৃত আরও ১৩
কিরণ দিগভকর বলেন, ‘‘ফিভার ক্লিনিকগুলির সাহায্যে উপসর্গ দেখে চটজলদি করোনা রোগীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তার ফলে সময় থাকতেই নিভৃতবাসে পাঠানো সম্ভব হয় তাঁদের। এতে আক্রান্তের শরীর থেকে সংক্রমণ অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।’’ করোনা সঙ্কট দেখা দিলে বহু মানুষ সময় থাকতে ধারাভি এলাকা ছেড়ে চলে যান। তার জন্যও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। সঙ্কটের সময় সেখানে ওষুধ, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জোগান দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানান দিগভকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy