বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সন্তুষ্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু-র মতে, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে সব মিলিয়ে কোভ্যাক্সিন যথেষ্ট কার্যকর। যদিও করোনার ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ততটা না হলেও তা বেশ ভাল বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার তথ্য খতিয়ে দেখে এই পর্যবেক্ষণ হু-এর।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে হু-এর থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যেই হু-এর কাছে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে হায়দরাবাদের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। সংস্থার আশা, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে কোভ্যাক্সিনকে সেই অনুমোদন দিয়ে দেবে হু। এই আবহে কোভ্যাক্সিন নিয়ে যথেষ্ট ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন সৌম্যা। বৃহস্পতিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা অনেক কম হলেও তা বেশ ভাল। সব মিলিয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হিসাবে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতাও যথেষ্ট বেশি।”
সৌম্যা জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য নিয়ে ২৩ জুন একটি বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য একত্রিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শনিবার কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করে ভারত বায়োটেকের দাবি, করোনার উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে তা ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে, ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ প্রতিরোধী বলেও দাবি ওই সংস্থার। তবে এ সমস্ত তথ্যই খতিয়ে দেখছে হু।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে টিকাকরণ নিয়েও ভারতকে পরামর্শও দিয়েছেন হু-র মুখ্য বিজ্ঞানী। প্রাথমিক ভাবে এ দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের টিকাকরণের দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। যদিও দু’টি টিকাপ্রাপ্তদের জন্য এখনই বুস্টার টিকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন হু-র অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy