— ছবি সংগৃহীত
গত কালের তুলনায় আজ দেশে ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এর পাশাপাশি দৈনিক সুস্থের সংখ্যার চেয়ে দৈনিক সংক্রমণ বেশি হওয়ায় ফের ঊর্ধ্বমুখী অ্যাক্টিভ রোগীর গ্রাফও। করোনা মোকাবিলায় বারেবারে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই পরিস্থিতিতে আরও একটি সংস্থা প্রতিষেধক তৈরিতে এগিয়ে এসেছে। তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ফরাসি ওষুধ সংস্থা সানোফি আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সম্মতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। ব্রিটেনের সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষেধক তৈরির কাজে নেমেছে সানোফি।
আজ এক বিবৃতিতে সানোফির তরফে জানানো হয়েছে, তাদের প্রতিষেধকটির সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করার জন্য তৃতীয় দফার ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। বিশ্বব্যাপীই এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, তারই অংশ হিসেবে ভারতেও ট্রায়াল শুরু করেছে এই ফরাসি সংস্থাটি। করোনার প্রতিষেধকের জন্য এই প্রথম কোনও সংস্থার বিশ্বজনীন ট্রায়ালে রয়েছে ভারতও। আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, লাটিন আমেরিকা মিলিয়ে সারা বিশ্বে এই সংস্থার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নিয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। যাঁদের প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক।
সানোফির ভারতীয় শাখার প্রধান অন্নপূর্ণা দাস জানিয়েছেন, ভারতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজে আগ্রহীদের নথিভুক্তকরণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
ভাইরাসটি যেহেতু ক্রমাগত মিউটেট করছে তাই আগামী দিনে এটি কতটা শক্তিশালী হতে তা পারে, তার আগাম আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ীই প্রতিষেধক প্রস্তুতের কাজ চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অন্নপূর্ণা। তাঁদের আশা, এই প্রতিষেধকটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা নেবে।
এ দিকে সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটায় এবার নড়েচড়ে বসেছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার। আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব নরেশ কুমার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কোভিডের টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই অরুণাচলে ঢুকতে পারবেন। অরুণাচলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল গত কাল রাজ্যে আসেন। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে তাঁরা জানান, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা না-কমা ও জাতীয় গড়ের তুলনায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। সংক্রমণ কেন বাড়ছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধিদল। মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের ৬৮ শতাংশের প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়েছে। আরও ৫০০টি অক্সিজেন-শয্যা বাড়ানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।
আজ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে মনসুখ মণ্ডাবিয়ার উচিত পর্যাপ্ত প্রতিষধক সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা। তাঁর অভিযোগ, তামিলনাড়ু বহু জায়গায় প্রতিষেধক শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, কোনও রকম রেকর্ডের পিছনে না ছুটে দ্রুত টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy