ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-কালে রোজকার জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠা ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারকে জুলাই মাসের শুরুতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে কেন্দ্র বাদ দিয়েছিল। এ বার স্যানিটাইজ়ারে ১৮ শতাংশর চড়া হারে জিএসটি বসানোই যুক্তিযুক্তি বলে কেন্দ্রীয় সরকার সওয়াল করল।
হাত জীবাণুমুক্ত করার স্যানিটাইজ়ারে কেন ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ কংগ্রেসের অভিযোগ, অতিমারি-লকডাউনের ধাক্কায় মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়লেও মোদী সরকার সাধারণ মানুষকে লুঠ করে চলেছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও এই সিদ্ধান্তকে নিষ্ঠুর আখ্যা দিয়ে দাবি তোলেন, স্যানিটাইজ়ারে কর তুলে নেওয়া হোক।
প্রশ্নের মুখে আজ অর্থ মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজ়ার সাবান, ডেটল, তরল সাবানের মতোই জীবাণু নাশক। এই ধরনের পণ্যে ১৮ শতাংশই জিএসটি বসে। কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের জিএসটি পরিষদে একসঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা ছাড়া স্যানিটাইজ়ার তৈরির কাঁচামালেও ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসে। শুধু স্যানিটাইজ়ারের উপর জিএসটি কমিয়ে দিলে কাঁচামালে মেটানো করের তুলনায় স্যানিটাইজ়ারে জিএসটি কমে যাবে। তাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মাথা ব্যথা বাড়বে। কারণ স্যানিটাইজ়ারে কর আদায়ে তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে কাঁচামালে মেটানো কর ফেরত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা হয়ে উঠবে কি জাইকোভ-ডি? পরীক্ষা শুরু ভারতে
অর্থ মন্ত্রকের আরও যুক্তি, জিএসটি কমালে আমদানি করা পণ্য বাজারে বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। তা সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের নীতির বিরোধী। আমজনতারও কিছু লাভ হবে না। কারণ দেশীয় সংস্থাগুলির সমস্যা হওয়ায় আখেরে স্যানিটাইজ়ারে দাম কমবে না। জিএসটি সংক্রান্ত বিবাদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারই রায় দিয়েছিল, স্যানিটাইজ়ারে ১৮ শতাংশ হারেই জিএসটি বসা উচিত। তারপরেই এই বিতর্ক বাঁধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy