—ফাইল চিত্র।
শুরু থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ, ভারতে করোনা সংক্রমণের যথেষ্ট পরীক্ষা হচ্ছে না। আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ভারতে প্রতি ২৪ জনে এক জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। যা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব পালনেই ওই সাফল্য এসেছে বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের।
গোড়া থেকেই টেস্ট কিটের ব্যাপারে ভারত বিদেশের উপর নির্ভরশীল। সে কারণে শুরু থেকেই কিটের অপচয় রুখতে উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের পরীক্ষা করার উপরে জোর দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু আজ রাহুল বলেন, “এই ভাইরাসের মোকাবিলায় সবথেকে বড় অস্ত্র হল পরীক্ষা। গত ৭২ দিনে বোধহয় প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গড়ে প্রতি জেলায় মাত্র ৩৫০ জনের মতো। আমাদের ভাইরাসের থেকে এগিয়ে থাকতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন আগ্রাসী নীতি মেনে পরীক্ষা।”
জবাবে আজ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর জানান, জাপানে গড়ে ১১.৭ জন ব্যক্তিকে, ইটালিতে ৬.৭ ব্যক্তিকে, আমেরিকায় ৫.৩ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে ১ জন সংক্রমিত রোগী পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ভারতে ২৪ জনকে পরীক্ষা করে ১ জন সংক্রমিতের সন্ধান মিলছে। এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, ভারতে করোনা আক্রান্ত কম বলেই কম রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আর জনসংখ্যার তুলনায় পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে যে অভিযোগ, তার জবাবে গঙ্গাখেদকর বলেন, দেশের ৩২৫টি জেলায় কোনও সংক্রমণের খবর নেই। যার অর্থ গোটা দেশের অর্ধেক মানুষ সুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?
আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা
যদিও বিরোধীদের চাপের মুখে পরীক্ষা বাড়াতে সম্প্রতি অ্যান্টিবডি কিটের বরাত দিয়েছিল ভারত। আজ চিন থেকে পাঁচ লক্ষ কিট এসেছে। তবে সেই কিট কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গঙ্গাখেদকর দাবি করেন, ওই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে। কিন্তু আক্রান্ত হয়েও শরীরে যদি অ্যান্টিবডি তৈরি না হয়, তা হলে তা কিটে ধরা পড়বে না।
পরীক্ষা কিটের পাশাপাশি সম্প্রতি চিন থেকে প্রায় ১.৭ লক্ষ গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রীও এসেছে। সূত্রের খবর, তাদের এক তৃতীয়াংশ গুণগত মানের পরীক্ষা পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy